ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


করোনা মহামারী বাংলাদেশের উন্নয়নে ডাচ এনজিওসমূহের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস


প্রকাশিত:
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২১:৫৪

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ১৭:৩১

করোনা মহামারী বাংলাদেশের উন্নয়নে ডাচ এনজিওসমূহের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস

কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে কর্মরত ডাচ বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাসমূহ (এনজিও) বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘e-Conclave of Dutch NGOs Engaged in Bangladesh’ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ডাচ এনজিও/ফাউন্ডেশনসমূহ তাদের এই আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে কর্মরত ৩০টি ডাচ এনজিও এতে অংশগ্রহণ করে। নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন।

চলমান কোভিড -১৯ মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করে উন্নয়ন অংশীদারীগণ কিভাবে তাদের কার্যক্রম অবাহত রেখেছে এবং করোনা পরবর্তী সময়ে তারা কিভাবে তাদের কার্যক্রম পুনর্বিন্যাস করবে, সে সম্পর্কে মত বিনিময়ের লক্ষ্যে ‘Post-Covid pandemic community development in Bangladesh: perspective from the grassroots’ শীর্ষক এক উন্মুক্ত আলোচনা আয়োজিত হয় যাতে ব্র্যাক চেয়ারপারসন ডঃ হোসেন জিল্লুর রহমান মূখ্য বক্তব্য প্রদান করেন।

রাষ্ট্রদূত হামিদুল্লাহ তাদেরকে ‘বাংলাদেশের বন্ধু’ অভিহিত করে তার স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি ও স্যানিটেশন, কৃষি, মানসিক স্বাস্থ্য প্রভৃতি খাতে ডাচ এনজিওসমূহের উল্লেখযোগ্য অবদানের প্রশংসা করে, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশে ডাচ এনজিওদের সহযোগিতার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মানুষের ও নেতৃত্বের মূল্যবোধ, উদ্ভাবন ও উদ্যমতা দু’দেশের বেসরকারী খাত ও সুশীল সমাজকে একত্র করেছে।

ডঃ হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, কোভিড -১৯ মহামারী মূখ্যতঃ প্রযুক্তি এবং অভিবাসন খাতে দৃশ্যমান প্রভাব ফেলেছে। করোনা মহামারীর কারণে দেশের প্রযুক্তিখাতে বিশেষ করে সরবরাহ ব্যবস্থা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি খাতে তথ্য প্রযুক্তির সৃষ্টিশীল প্রসার ঘটেছে। করোনা মহামারী উন্নয়ন সংস্থাসমূহের জন্য কাজের নতুন নতুন ক্ষেত্রও সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন যে, বাংলাদেশ অনেকাংশে এক Initiative-driven society যেখানে ডাচ এনজিওরা তাদের উদ্ভাবনী কর্মকান্ডের প্রসার ঘটাতে পারে। দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ইত্যাদি খাতের উন্নয়নে বেসরকারী খাতের পাশাপাশি তিনি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে এগিয়ে আসার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

ডাচ এনজিওরা সরকার এবং উন্নয়ন সহযোগীদের বিশেষত ডাচ উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে সেতুবন্ধন নির্মাণে দূতাবাসের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তারা বাংলাদেশকে বিদেশি এনজিওদের কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য সহায়ক দেশ হিসাবে অভিহিত করেন এবং তরুণ ও উদ্যমী জনগোষ্ঠীর উপস্থিতির কারণে বাংলাদেশকে ‘a land of opportunities’ বলে আখ্যায়িত করেন।


বিষয়: এনজিও



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top