ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১

হিমালয়ের বুকে ছিল মহাসাগর!


প্রকাশিত:
৩০ জুলাই ২০২৩ ০১:২৬

আপডেট:
৯ মে ২০২৪ ০১:৩০


লাখ লাখ কোটি বছর আগে সমুদ্র থেকে উৎপত্তি হয়েছিল বিশাল পর্বত হিমালয়ের। এতদিন পর এসে হিমালয়ের বুকে খোঁজ মিলেছে ৬০ কোটি বছরের প্রাচীন সমুদ্রের চিহ্ন। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালার পাথর, খনিজের মধ্যে মিলেছে জীবাশ্ম। এতে রয়েছে মহাসাগরের চিহ্ন। এমন দাবি করেছেন ভারত ও জাপানের বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পশ্চিম কুমায়ূন হিমালয়ে অর্থাৎ অমৃতপুর থেকে মিলম হিমবাহ এবং দেরাদুন থেকে গঙ্গোত্রী হিমবাহ পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকার পাথরে মিলেছে মহাসাগরের অস্তিত্বের প্রমাণ।

বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স, জাপানের নিগাটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এই আবিষ্কার করেছেন। আইআইএসসির সেন্টার ফর আর্থ সায়েন্সেসের পিএইচডি গবেষক প্রকাশ চন্দ্র আর্য ‘প্রিক্যাম্ব্রিয়ান রিসার্চ’ নামে একটি স্টাডিতে তাদের এই আবিষ্কারের কথা উল্লেখ করেছেন।

ধারণা করা হচ্ছে, ৬০ থেকে ৭০ কোটি বছর আগে এই জায়গাতে ছিল এক মহাসাগর। ভূ-আন্দোলনের ফলে ভূ-ভাগ দুটি পরস্পরের কাছাকাছি আসতে থাকলে টেথিস সাগরে সঞ্চিত পাললিক শিলাস্তরে প্রচণ্ড চাপ পড়ে। দু’দিক থেকে চাপের ফলে ওই শিলাস্তরে ভাঁজের সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে তা উপরে উঠে হিমালয়ের সৃষ্টি করে। সেই সাগর হারিয়ে গিয়ে ক্রিস্টালে পরিণত হয়।

তবে অক্সিজেনেশনের মাধ্যমে সেই পানির অস্তিত্ব এখনও রয়ে গেছে সুউচ্চ পর্বতমালার খাঁজে খাঁজে।

প্রকাশ চন্দ্র আর্য বলেন, এই জলের মধ্যে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম কার্বোনেট প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। মনে করা হচ্ছে ৭০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন বছর আগে 'গ্লেশিয়েশন' হয়েছে। এটিকে স্নো-বল আর্থ গ্লেশিয়েশনও বলা হচ্ছে। সেই সময়ই হিমালয়ের মধ্যকার সমুদ্রও হারিয়ে যায়। তবে এখনও হিমালয়স্থিত পাথরের অভ্যন্তরে সেই চিহ্ন রয়ে গেছে।


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top