ঢাকা বুধবার, ৮ই মে ২০২৪, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১

অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে আটকা পড়ে অর্ধশত তিমির মৃত্যু


প্রকাশিত:
২৬ জুলাই ২০২৩ ২১:৫৫

আপডেট:
৮ মে ২০২৪ ১৮:২০

অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে আটকা পড়ে অর্ধশত তিমির মৃত্যু : সংগৃহীত ছবি


পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার একটি সমুদ্র সৈকতে আটকা পড়েছে শতাধিক পাইলট তিমি। কর্তৃপক্ষ বলছে, এরইমধ্যে ৫১টি তিমি মারা গেছে। তবে দলের বাকি তিমিদের বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার পার্কস অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস জানিয়েছে, ২৬ জুলাই, মঙ্গলবার সকালে আলবেনির ৬০ কিলোমিটার পূর্বে চেইনস সৈকতের কাছে তিমির ঝাঁকটিকে সাঁতার কাটতে দেখা যায়। পরে দলটি সৈকতের কাছাকাছি আসতে শুরু করে এবং সেখানে আটকা পড়ে। খবর ডয়েছে ভেলের।

ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার স্টেট ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োডাইভারসিটি, কনজারভেশন অ্যান্ড অ্যাট্রাকশন তিমিগুলোকে উদ্ধার করতে এবং বাঁচাতে সৈকতে ক্যাম্প স্থাপন করেছে।

উদ্ধারকারী দলে দেশটির পার্থ চিড়িয়াখানার পশুচিকিত্সক এবং সামুদ্রিক প্রাণীজগতের বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। পাশাপাশি রয়েছে স্বেচ্ছাসেবকদের একটি দল।

সংস্থাটির ব্যবস্থাপক পিটার হার্টলি বলেন, ৪৬টি তিমি এখনও জীবিত আছে এবং তাদের উদ্ধার করাই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশাবাদী যে, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো এবং তাদের উদ্ধার করবো।

বলা হয়, পাইলট তিমি আদৌ তিমি নয়। এরা সামুদ্রিক ডলফিন পরিবারের সদস্য। স্পেনীয় ভাষায় এদের বলা হয় "ক্যালডেরন", যার অর্থ "বড় কড়াই"। পাইলট তিমিকে সিটাসিয়ান বর্গের জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণী হিসাবে শ্রেণীবিন্যাস করা হয়। এরা এবং ডলফিন পরিবারের অন্যান্য সদস্য কালো মাছ বা ব্ল্যাক ফিশ নামেও পরিচিত। দুই প্রজাতির পাইলট তিমি রয়েছে। এক প্রজাতি দীর্ঘ পাখনাবিশিষ্ট ও দ্বিতীয়টি হ্রস্ব পাখনাবিশিষ্ট।

পরিণত পুরুষ পাইলট তিমির দৈর্ঘ্য ২০ ফুট এবং ওজন তিন টন পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর স্ত্রী পাইলট তিমির দৈর্ঘ্য ১৬ ফুট এবং ওজন এক দশমিক পাঁচ টন হয়। বসবাস ও বিচরণের জন্য গভীর পানিই এদের বেশি পছন্দ। তবে মাঝামধ্যে এরা ঝাঁক বেধে সৈকতের কাছাকাছি চলে আসে আটকা পড়ে।


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top