ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০

ঐক্যবদ্ধভাবে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করা হবে: জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী


প্রকাশিত:
৩০ জানুয়ারী ২০২০ ২৩:২৪

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ১৯:৫৪

জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী            ছবি: পরিবেশ টিভি

পরিবেশ টিভি: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ নগন্য। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের কাতারে। এজন্য জলবায়ু সহনীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করতে উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে একযোগে কাজ করা হবে।

জলবায়ু অভিযোজন প্রকল্পগুলি প্রস্তুত এবং বাস্তবায়নে সহযোগিদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা উন্নয়ন সহযোগী, এনজিও, সিভিল সোসাইটি এবং বেসরকারী খাতের সাথে একযোগে কাজ করতে চাই। সম্মিলিতভাবেই আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করবো।মন্ত্রী এসময় বহুজাতিক বৃহৎ সংস্থাসমূহকে তাদের কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) একটি অংশ জলবায়ু অভিযোজন এবং প্রশমন প্রকল্পগুলিতে ব্যয় করার আহ্বান জানান।

বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র,ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম-২০২০ এ “জলবায়ু পরিবর্তনের অংশীদারি ও এর অর্থায়ন” শীর্ষক দ্বিতীয় কার্য অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। অন্যান্যের মধ্যে মূখ্য আলোচক হিসাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, সম্মানিত অতিথি হিসাবে গ্রিন জলবায়ু তহবিলের উপ-নির্বাহী পরিচালক জাভিয়ার মানজানারেস, প্যানেলিস্ট হিসেবে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার, জাইকার সভাপতির কারিগরি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. কিমিও টোকা, ইউএনডিপি আঞ্চলিক ব্যুরো অফ এশিয়া প্যাসিফিকের রাধিকা লাল এবং ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক ড. মূসা বক্তব্য রাখেন।

জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেন, দেশের বিশেষ ভৌগলিক অবস্থান, আর্থ-সামাজিক অবস্থার কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বন্যা, তাপপ্রবাহ এবং সমুদ্র-স্তর বৃদ্ধির কারণে লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশির নিরাপত্তা আজ হুমকির সম্মুখীন । তিনি বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্বেও জলবায়ু পরিবর্তন ও জলবায়ু নির্ভরশীল উন্নয়নে বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করছে। সরকার নির্মল বায়ু আইনসহ প্রয়োজনীয় আইন ও বিধি প্রণয়ন, শিল্পকারখানা থেকে শুন্য নিঃসরণ, জলাশয় ও জলাভূমির অবৈধ দখলমুক্ত ও রক্ষাকরণ এবং উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রিতে সীমিত রাখতে ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক নির্গমণকে অর্ধেকে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে নেট শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমের জন্য সম্পদ সংগ্রহ ও এর কার্যকরী ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে কম কার্বন নিঃসরণ নিশ্চিত করতে জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) বাস্তবায়নে সরকার কাজ করবে।


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top