ঢাকা শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৮ই বৈশাখ ১৪৩১

জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় উপকূলীয় এলাকায় বনভূমি বাড়ানোর তাগিদ


প্রকাশিত:
২২ জানুয়ারী ২০২০ ০৮:১৩

আপডেট:
২২ জানুয়ারী ২০২০ ০৮:১৭

সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন বিশিষ্টজনেরা         (ছবি: পরিবেশ টিভি)

পরিবেশ টিভি: বাংলাদেশের ঊপকূলীয় এলাকায় অন্যতম চ্যালেঞ্জ ঝড়-জলোচ্ছাসের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। গেল কয়েক বছরে নতুন দুর্যোগ হিসেবে আবির্ভাব হয়েছে লবনাক্ততা। তাই উপকূলীয় এলাকায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় লবনাক্ততা সহনশীল গাছ লাগানোর তাগিদ দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রধান্য দিয়ে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এমন তাগিদ দেন তারা। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির মিনায়তনে ৫ দিন ব্যাপি এ সম্মেলনের আয়োজন করে উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা ‘গবেষণা’।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের সেমিনারে বিশেষ গুরুত্ব পায়; বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, প্রতিকূলতা এবং তা মোকাবিলার কৌশল। উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা ‘ফ্রেন্ডশিপ’ এর জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রধান কাজী এমদাদুল হকের সঞ্চলানায় সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়রে মাননীয় উপমন্ত্রী জনাব হাবিবুন নাহার এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন, উপ-প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমির হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচনা করেন, আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংরক্ষন ইউনিয়ন -আইইউসিএন এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রাকিবুল আমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর।

সেমিনারে বক্তারা জানান, ঊপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগ মোকাবিলার অন্যতম উপায় হতে পারে বনভূমি বাড়ানো। গেল কয়েক বছরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় এ মহৎ উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ। সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার ৪০ হেক্টর এলাকায় লাগানো হয়েছে প্রায় দেড় লাখেরও বেশি ম্যানগ্রোভ প্রজাতির উদ্ভিদ। প্রতি হেক্টরে লাগানো গাছপালা দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন স্থানীয়রাই। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে ম্যানগ্রোভ প্রজাতির চারা সহজলভ্য করতে ফ্রেন্ডশিপের উদ্যোগে চালু করা হয়েছে দুটি নার্সারী। ইতোমধ্যে এর সুফলও পেতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। বিশেষ করে ঝড়-জলোচ্ছাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উপকূলীয় বাঁধ বা পোল্ডার রক্ষা এবং বনভূমি থেকে মধু আহরণে বেশ সুযোগ তৈরি হয়েছে। বক্তারা আশা করেন, এ ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকলে দীর্ঘ মেয়াদে বনভূমি এবং চরের মাধ্যমে ভূখন্ড বাড়াতে ভাল ভূমিকা রাখবে এই উদ্যোগ।


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top