ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্যমন্ত্রী, জলবায়ু পরিবর্তন এখন আর অদৃশ্য হুমকি নয়


প্রকাশিত:
১৩ জানুয়ারী ২০২০ ০৩:১৪

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৪১

ফাইল ছবি

পরিবেশ ডেস্ক: ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তন এখন আর কোনো অদৃশ্য হুমকি নয়, এখন তা বাস্তবে রূপ নিয়েছে। শিল্প বিপ্লবের আগে বৈশি্বক তাপমাত্রা যা ছিল বর্তমানে তা এক ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের পুনর্মিলনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। ক্যাম্পাসের ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বর্তমান তথ্যমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, ষাটের দশকে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ এলাকা ছিল আকর্ষণীয় জায়গা। কিন্তু বর্তমানে সেখান থেকে মানুষ পালিয়ে যাচ্ছে। কারণ, বর্ষাকালে আগ্রাবাদসহ চট্টগ্রাম নগরের অনেক স্থানে জোয়ারের পানি চলে আসে। জলবায়ু পরিবর্তনের এই সঙ্কট মোকাবেলায় বন ও পরিবেশ বিদ্যার শিক্ষার্থীরা ভ‚মিকা রাখতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞানের ভাষ্যমতে দুই লাখ বছর আগে আধুনিক মানুষের আগমন ঘটেছে। তার আগে আরও তিনটি প্রাণী বিলুপ্ত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত থাকলে তাদের মতো আমরাও অচিরে বিলুপ্ত হয়ে পড়ব। বিষয়টি মাথায় রেখে পরিবেশ এবং প্রকৃতিকে রক্ষা করা প্রয়োজন। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) মতো একটি প্রতিষ্ঠান সাড়ে তিনশ ফুট পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ করেছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন।

নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শেখ মো. বেলাল হোসেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ২৪ পদাতিক ডিভিশন, চট্টগ্রামের জিওসি মেজর জেনারেল এসএম মতিউর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, আইএএ’র সাধারণ সম্পাদক ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন।

সভাপতির বক্তৃতায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় গাছগাছালী ও ছোট ছোট পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত। এর প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য, স্বকীয়তা বজায় রেখে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হবে। আমরা আমাদের সিনিয়র শিক্ষক ও যারা এসব বিষয় বুঝেন, তাদের নিয়ে একটি মাস্টারপ্লান তৈরি করেছি, তা শিগগিরই সাবমিট করা হবে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top