সামুদ্রিক শৈবাল থেকে বিদ্যুৎ
পরিবেশবান্ধব জ্বালানির জন্য বিকল্প নানা উৎসের খোঁজ চলছে, অ্যালজি বা সামুদ্রিক শৈবাল যার অন্যতম। সম্প্রতি জার্মানিতে এই প্রযুক্তির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে অভিনব পরীক্ষা চলছে।
জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামবুর্গ শহরের একটি বাড়ির মধ্যে বায়ো-রিঅ্যাক্টরে শৈবাল চাষ হচ্ছে। যার চারদিকে বুদবুদের স্পন্দন। সেখানে শৈবাল এমন বায়োমাস উৎপাদন করছে, যা থেকে বায়োগ্যাস পাওয়া যায়। সেই জ্বালানি দিয়ে বাড়ির ৩০ বাসিন্দার জন্য শীতে ঘর গরম রাখা যায়।
মার্টিন ক্যার্নার বিশ্বের প্রথম ‘অ্যালজি হাউস’ উদ্যোগের অন্যতম উদ্যোক্তা। সহকর্মীদের সঙ্গে তিনি রিঅ্যাক্টরের দেয়ালটিকে আরো উন্নত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে পুরোটাই বাস্তব পরিস্থিতিতে এক পরীক্ষার মতো।
মার্টিন বলেন, গবেষণাকেন্দ্র হিসেবেও আমরা জায়গাটিকে কাজে লাগাচ্ছি। গবেষণা ও উন্নতির স্বার্থে আমরা সেরা বিষয়গুলো পরখ করে দেখছি। ছোট আকারে নয়, এখানে আমরা মনের সুখে পরীক্ষা চালিয়ে দেখতে পাচ্ছি, কীভাবে ও কতটা দক্ষতার সঙ্গে সবকিছু চলছে, কোথায় আরো উন্নতির অবকাশ রয়েছে এখানেই সব প্রশ্নের উত্তর যাচাই করতে পারছি।
মার্টিন ক্যার্নারঅ্যালজি হাউজ নিয়ে আমরা খুবই গর্বিত। এই প্ল্যান্ট শুধু উত্তাপ ও বায়োগ্যাস উৎপাদন করে না। এক বিশেষ সিস্টেমের মাধ্যমে বর্জ্য পানি অপচয় না করে আবার কাজে লাগানো যায়।
মার্টিন ক্যার্নার বলেন, আমরা বাড়ির বর্জ্য পানি রিসাইকেল করি এবং সেই প্রক্রিয়ায় মিথেন গ্যাস উৎপাদন করি। পানি ও পুষ্টির সঙ্গে সঙ্গে আবার বায়ো রিঅ্যাক্টরে কাজে লাগাতে পারি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: