ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২রা আশ্বিন ১৪৩১

পরিবেশ বাচাঁতে পোশাকের পুনর্ব্যবহার


প্রকাশিত:
২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:২২

আপডেট:
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:২৪

ফাস্ট ফ্যাশনের এই যুগে সস্তায় নিত্যনতুন পোশাক কেনার ধুম পড়েছে। পোশাক কিনতে কষ্ট করে আর মার্কেটেও যেতে হয় না। ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সারদের গায়ে পোশাক দেখে পছন্দ হলেই সঙ্গে সঙ্গেই অনলাইনে অর্ডার।

আসলে ফাস্ট ফ্যাশনের মূল লক্ষ্যই হলো বাজারে আসা নতুন এবং জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা পোশাক ক্রেতাদের তা কিনতে বাধ্য করা। কিন্তু ঠিক এই কারণেই এসব পোশাক কিছুদিন পরে বাতিল করে দিতে হয়। আমরা ইচ্ছেমতো পোশাক কিনে পরি আর অকারণে তা ফেলে রাখি।

কিন্তু আমাদের এমন চর্চা পরিবেশের ওপর কী বিরূপ প্রভাব ফেলে, তা নিয়ে কেউই ভাবি না। কাঁচামাল ব্যবহার, অত্যধিক উৎপাদন এবং প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য ফ্যাশন ইন্ড্রাস্ট্রিকে বিশ্বের অন্যতম দূষণকারী খাত হিসেবে গড়ে তুলছে।

তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন এখন বৈশ্বিক সমস্যায় রূপ নিয়েছে। পরিবেশ দূষণ কমাতে অন্যতম বৃহৎ খাত হিসেবে পোশাকশিল্পেরও দায়িত্ব আছে।

তাই পোশাক কিনে একবার-দু’বার পরে আলমারিতে ফেলে না রেখে সেটা রিসাইকেল বা পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে নানা ভাবে কাজে লাগানো যায়।

এক কথায়, রিসাইক্লিং তথা পুনর্ব্যবহার এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ইতিমধ্যে ব্যবহৃত উপকরণ থেকে নতুন পণ্য পাওয়া যায়। আমাদের দেশীয় শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট, ফ্রক সবই পুনর্ব্যবহার উপযোগী পোশাক।

বর্তমানে পরিবেশের সুরক্ষায় ইউরোপসহ বিশ্বের প্রধান ক্রেতাদেশগুলো টেকসই পোশাকের ওপর জোর দিচ্ছে। ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতেও বারবার পরা যায়, এমন পোশাকের দাবি উঠছে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top