ঢাকা শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তৈরি হচ্ছে ভয়ংকর টাইফুন


প্রকাশিত:
২৯ জুলাই ২০২৪ ১৯:০৩

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৪:১৩

তাইওয়ান, ফিলিপাইন ও চীনে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী টাইফুন আঘাতে হেনেছে। এবার বিজ্ঞানীরা নতুন এক গবেষণা চালিয়ে জানালেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে টাইফুনসহ অন্যান্য গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ের তীব্রতা বাড়তে পারে।

সাম্প্রতিক সময়ে যেসব টাইফুন আঘাত হানে সেগুলোর বাতাসের গতিবেগ ছিল ২২৭ কিলোমিটার পর্যন্ত।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, উচ্চ তাপমাত্রার কারণে শক্তিশালী গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ের সংখ্যা বাড়ছে। চরম আবহাওয়া দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। চায়না একাডেমি অব সায়েন্সের বিজ্ঞানী ঝাং ওয়েনক্সিয়ার নেতৃত্বে বিজ্ঞানীরা আবহাওয়াসংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে জানান, বিশ্বের প্রায় ৭৫ শতাংশ ভূমি অঞ্চলে বৃষ্টির ধরন নিয়মিত আবর্তনে পরিবর্তিত হচ্ছে। ভেজা ও শুষ্ক আবহাওয়ার মধ্যে বিস্তৃত পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। উষ্ণ তাপমাত্রা বায়ুমণ্ডলের আর্দ্রতা ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে বৃষ্টিপাতের ব্যাপকতায় গভীর পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী স্টিভেন শেরউড বলেন, অস্ট্রেলিয়াসহ সারা বিশ্বে বৃষ্টির পাশাপাশি তাপমাত্রাও বেড়েছে। বৃষ্টিপাতের সময়কাল ও শুষ্ক সময়কালের মধ্যে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উষ্ণায়নের মাত্রা বৃদ্ধির ফলে খরা ও বন্যার আশঙ্কা বাড়ছে।

সম্প্রতি তাইওয়ানে আঘাত হানে টাইফুন গেইমি। আট বছরের মধ্যে দ্বীপটিতে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন ছিল এটি। জাপানের নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সাচি কানাডা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য পৃথকভাবে আবহাওয়াসংশ্লিষ্ট ঘটনাকে দায়ী করা কঠিন। বিভিন্ন মডেল থেকে জানা যাচ্ছে যে বৈশ্বিক উষ্ণতা টাইফুনকে বেশি শক্তিশালী করে তুলছে।

জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক এক প্রতিবেদনে চীনের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ১৯৯০ দশক থেকে উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরে টাইফুনের সংখ্যা কমেছে। তবে টাইফুন আরও শক্তিশালী হচ্ছে। তাইওয়ান গত মে মাসে এক জলবায়ু প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই অঞ্চলে টাইফুনের সামগ্রিক সংখ্যা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও বিভিন্ন টাইফুন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

 




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top