ঢাকা রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫শে ভাদ্র ১৪৩১

নেপালে ভূমিধসে নদীতে ছিটকে পড়ল দুই বাস, নিখোঁজ অন্তত ৬০


প্রকাশিত:
১২ জুলাই ২০২৪ ১৪:১২

আপডেট:
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:২৬


নেপালের নারায়ণঘাট-মুগলিং সড়কের সিমলতালে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সময় যাত্রীবাহী দুটি বাস ছিটকে ত্রিশূলি নদীতে পড়ে যায়। এ দুর্ঘটনায় অন্তত ৬০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে দ্য কাঠমাণ্ডু পোস্ট। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দ্য কাঠমাণ্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিতওয়ানের মুখ্য জেলা কর্মকর্তা ইন্দ্রদেব যাদবের জানান, রাজধানী থেকে গৌড় যাওয়ার পথে কাঠমান্ডুগামী অ্যাঞ্জেল ডিলাক্স এবং গণপতি ডিলাক্স ভোর ৩টা ৩০ মিনিটে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। কাঠমাণ্ডু থেকে গৌড়গামী বাসে ৪১ জন এবং বীরগঞ্জ থেকে কাঠমাণ্ডুগামী বাসে ২৪ জন ছিল। এদের মধ্যে তিনজন বাসের জানালা থেকে লাফিয়ে পড়ে বেঁচে যায় বলে জানা গেছে।

ঘটনা পর ভোরে কর্তৃপক্ষ ত্রিশূলি নদীতে ভেসে যাওয়া নিখোঁজ যাত্রীদের সন্ধানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করেছে।

এ ছাড়া পৃথক আরো ভূমিধসের ঘটনায় দেশটির পার্বত্য এলাকায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। নেপাল পুলিশ এবং সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর কর্মীরা উদ্ধার অভিযানের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বলে পুলিশ সুপার ভাভেশ রিমাল জানিয়েছেন।
শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্ট, প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং সরকারি সংস্থাগুলোকে কার্যকর অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘নারায়ণঘাট-মুগলিং সড়ক সেকশনের সিমালটারে ভূমিধসে নদীতে বাস ভেসে যাওয়ার ঘটনা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্যোগের ফলে ক্ষতির খবরে আমি গভীরভাবে দুঃখিত।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি স্বরাষ্ট্র প্রশাসনসহ সব সরকারি সংস্থাকে যাত্রীদের অনুসন্ধান ও উদ্ধারের নির্দেশ দিচ্ছি।’

পুলিশের একজন মুখপাত্র দান বাহাদুর কারকি বলেছেন, কাঠমাণ্ডু থেকে প্রায় ৮৬ কিলোমিটার (৫৩ মাইল) পশ্চিমে চিতওয়ান জেলায় ঘটনাটি ঘটে। তিনি আরো বলেন, ‘কাঠমাণ্ডু থেকে গৌড়গামী বাসে ৪১ জন এবং বীরগঞ্জ থেকে কাঠমাণ্ডুগামী বাসে ২৪ জন ছিল। সব যাত্রীসহ বাস দুটি ত্রিশূলি নদীতে পড়ে যায় এবং যাত্রীরা নিখোঁজ হন।’ এ ছাড়া তিনি জানান, দেশের কাস্কি জেলায় ভূমিধসে তিনটি বাড়ি ভেসে গিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ বছর নেপালে ভূমিধস ও বন্যায় অন্তত ৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। হিমালয় দেশটিতে জুনের মাঝামাঝি থেকে প্রবল মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে ভূমিধস এবং বন্যার ঘটনা ঘটছে।

এদিকে পৃথক দুর্ঘটনায় একই সড়কের ১৭ কিলোমিটার দূরে একটি যাত্রীবাহী বাসে পাথর পড়ে একজন নিহত হয়েছেন। বুটওয়াল থেকে কাঠমাণ্ডু অভিমুখে যাচ্ছিল বাসটি। এ ঘটনায় বাসচালক মেঘনাথ বিকে গুরুতর আহত হন। চিতওয়ান মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানান উপপুলিশ সুপার ভেষরাজ রিজাল। বিভিন্ন স্থানে ভূমিধসের ঘটনায় নারায়ণঘাট-মুগলিং সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। রাস্তায় যান চলাচল শুরু হতে প্রায় চার ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

 

সূত্র : দ্য কাঠমাণ্ডু পোস্ট


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top