ঢাকা রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫শে ভাদ্র ১৪৩১


ছায়াপথে রহস্যময়ী প্রকাণ্ড ৭ কাঠামোর সন্ধান, শঙ্কিত বিজ্ঞানীরা


প্রকাশিত:
২১ জুন ২০২৪ ১৮:২৯

আপডেট:
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:৪৩

ছায়াপথে (মিল্কিওয়ে) রহস্যময় সাতটি প্রকাণ্ড কাঠামো সদৃশ বস্তু শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। ধারণা করা হচ্ছে এগুলো ভিনগ্রহের বাসিন্দাদের তৈরি কাঠামো, যেগুলো নক্ষত্র থেকে শক্তি সঞ্চয় করে টিকে থাকতে পারে। অতি উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় পৃথিবীর তুলনায় অনেক বেশি সৌরশক্তি এদের কেন্দ্রস্থলে সঞ্চিত হয়। এবং এদের উপরিভাগ থেকে তাপ নির্গত হয়।

অন্য প্রতিবেদনে বলা হয়, মহাকাশীয় ধুলা ও গ্যাসের বলয় দিয়ে তৈরি আমাদের ছায়াপথের প্রায় কেন্দ্রস্থলে অবস্থান করা বস্তু থেকে মাইক্রোওয়েভ নির্গত হয়। শুধু তা–ই নয়, ঘণ্টায় প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার মাইল গতিতে ছুটে চলে এসব বস্তু। আর তাই মিল্কিওয়ে ছায়াপথে এ পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া কোনো বস্তুর সঙ্গে নতুন বস্তুর মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী লাইভ সায়েন্সসে নতুন এসব বস্তুর তথ্যাদি প্রকাশ করা হয়েছে।

ছায়াপথে সন্ধান পাওয়া রহস্যময় বস্তুটিকে প্রথমে ব্ল্যাকহোল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া মেঘ বা নক্ষত্র হিসেবে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু ভালোভাবে পর্যবেক্ষণের পরও বস্তুটির পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা।

এ বিষয়ে বিজ্ঞানী অ্যাডাম গিন্সবার্গ বলেন, ‘আমাদের গ্যালাক্সির কেন্দ্রে রয়েছে কোটি কোটি নক্ষত্র। আরও আছে গ্যাসের কুণ্ডলী ও সুপার ম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল। আমাদের গ্যালাক্সিতে এখনো নক্ষত্র গঠন হচ্ছে। অবশিষ্টাংশকে নাক্ষত্রিক কবরস্থান বলা যায়, যেখানে বিভিন্ন বিস্তৃত ধ্বংসাবশেষ অবস্থান করছে।

নতুন বস্তুটি চিলির অ্যাটাকামা লার্জ মিলিমিটার/সাবমিলিমিটার অ্যারে মানমন্দির থেকে আবিষ্কার করা হয়েছে। এ ধরনের বস্তুকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় মিলিমিটার আলট্রা-ব্রড লাইন অবজেক্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অসংজ্ঞায়িত বস্তু যেমন প্রোটোস্টেলার আউটফ্লো, ধসে পড়া মেঘ, বিবর্তিত নক্ষত্র, হাই-ভেলোসিটি কমপ্যাক্ট ক্লাউডসহ বিভিন্ন বস্তুকে এই দলে রাখা হয়। কিন্তু নতুন বস্তুটির সঙ্গে পুরোনো কোনো বস্তুর তথ্যই মিলছে না।

 


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top