ঢাকা রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫শে ভাদ্র ১৪৩১


মেক্সিকোয় খরায় হ্রদ শুকিয়ে হাজার হাজার মাছ মারা গেছে


প্রকাশিত:
১৪ জুন ২০২৪ ১১:২৬

আপডেট:
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:২৯

উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোর বেশিরভাগ এলাকায় খরা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় শুকিয়ে যাচ্ছে নদী-নালা। এরই মধ্যে দেশটির উত্তরাঞ্চলের চিহুয়াহুয়া রাজ্যের বড় একটি হ্রদ আংশিকভাবে শুকিয়ে গেছে। ফলে হৃদের লাখ লাখ মাছ মারা গেছে।

সিএনএনের এক প্রতিবেদন মতে, চিহুয়াহুয়া রাজ্যের আনাহুয়াক শহরের পাশেই বিশাল হৃদটির নাম বাস্তিলোস লেগুন। টানা অনাবৃষ্টি ও খরার পাশাপাশি অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে ৩ হাজার ২৮৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের হ্রদটির পানি বিপজ্জনক স্তরে নেমে গেছে।

হ্রদের কোনো কোনো জায়গা একেবারে শুকিয়ে গেছে। এর ফলে লাখ লাখ মাছের মৃত্যু হয়েছে। গত সপ্তাহে হ্রদের কাদায় মরা মাছ স্তূপ হতে শুরু করে। ১২ জুন, বুধবার থেকে পুরো এলাকায় মরা মাছের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এতে রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদন মতে, সামগ্রিকভাবে মেক্সিকোর ৯০ ভাগ এলাকায় খরার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। রাজধানীসহ বেশ কয়েকটি শহরে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং কখনও কখনও তার বেশি তাপমাত্রা দেখা যাচ্ছে। যা সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

খরায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে উত্তরের চিহুয়াহুয়া রাজ্য। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকায় প্রচণ্ড খরা দেখা দিয়েছে। খরার মারাত্মক প্রভাব পড়েছে বাস্তিলোস লেগুনের ওপর যা চিহুয়াহুয়ার বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদার একটা উল্লেখযোগ্য অংশ পূরণ করে আসছিল।

রাজ্যের পরিবেশ বিষয়ক দফতরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ইরমা ডে লা পেনা বলেন, হৃদে মাছ বেঁচে থাকার মতো পানি কমে গেছে। কোথাও কোথাও অল্প পানি থাকলেও তা দূষিত হয়ে উঠেছে। তার কথায়, ‘পানি পরিমাণ কমে যাওয়ায় দৃষণ বেড়ে গেছে যাতে বিভিন্ন জলজ প্রাণী আক্রান্ত হচ্ছে।

এবারই প্রথম নয়, এর আগে আরও বেশ কয়েকবার বাস্তিলোস লেগুনোর পানি শুকিয়ে কাদায় আটকে বহু মাছ মারা গেছে। তবে এবার পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে উঠেছে। কোথাও কোথাও হৃদ শুকিয়ে কাদায় ফাটল দেখা দিয়েছে। আর বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মরে পড়ে আছে মাছ।

হ্রদের পাশের বিশাল এলাকাজুড়েও খরার প্রভাব পড়েছে। জলাধারগুলো শুকিয়ে গেছে। ফলে পানি পাচ্ছেন না কৃষকরাও। পানির অভাবে গরু ও গাধার মতো গবাদি পশুও মারা গেছে। তাপমাত্রা ও ​খরা এতটাই প্রবল হয়ে উঠেছে যে কৃষির ওপর নির্ভরশীল অনেক মানুষ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।

জিসাস মারিয়া প্যালাসিওস নামে স্থানীয় এক পশুপালক জানিয়েছেন, পুরো এলাকা এখনও পরিত্যক্ত। যেহেতু বৃষ্টি হয় না, তাই মানুষ আর এখানে বসবাস করতে সাহস করেনি।

শুধু গবাদি পশু নয়, এবার অনেক মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে। মেক্সিকোর স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, মার্চের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া চলতি উষ্ণ মৌসুমে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১২৫ জনের।


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top