ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ তেঁতুলিয়ায়


প্রকাশিত:
৮ জানুয়ারী ২০২০ ০৩:০১

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ১৯:৩৬

ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশ টিভি: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আজ মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। এতে নাকাল হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। হাড়কাঁপানো শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। উত্তরের হিমেল বাতাসে কাবু হয়ে পড়েছে দেশের সর্ব উত্তরের এই জনপদের বাসিন্দারা। হিমালয়ের খুব কাছাকাছি জেলা হওয়ায় পঞ্চগড়ে সহজেই উত্তর–পশ্চিম দিক থেকে হিমালয়ের হিমবায়ু প্রবেশ করায় ক্রমাগত তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

গত কয়েক দিন তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও আজ হঠাৎ করেই তাপমাত্রা কমে যায়। তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই দিন সন্ধ্যা ৬টায় তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার বলছে, দেশে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করলে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায় এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা বিরাজ করলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।

জেলার সদর উপজেলার আমলাহার এলাকার নির্মাণশ্রমিক জাহাঙ্গীর আলম আজ সকালে বলেন, ‘সারা রাত বৃষ্টির মতো কুয়াশা ছিল। সকালে কাজের জন্য বের হয়েছি। এখন কুয়াশা নেই। তবে ঠান্ডা বাতাসে হাত-পা জড়ো হয়ে আসছে। গত কয়েক দিনের ঠান্ডায় কেউ কাজও করাতে চায় না। আমরা ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না। ঠান্ডা বাতাসের মধ্যে হাত-পা পানিতে সামান্য ভিজলেই নাক-চোখ দিয়ে পানি আসে।’

তেঁতুলিয়া শহরের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুবর্ণ কেতু দাস বলেন, ‘তেঁতুলিয়ায় সরাসরি উত্তর দিক থেকে একটা ঠান্ডা বাতাস এসে আমাদের কাবু করে দিচ্ছে। বিশেষ করে আমরা যারা বৃদ্ধ মানুষ আর শিশুরা এতে বেশি কাবু হয়ে পড়েছি। রাতভর বৃষ্টির মতো কুয়াশা ছিল। তবে আজ সকাল বেলা রোদ ওঠায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে।’

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, তেঁতুলিয়া হিমালয়ের খুব কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর–পশ্চিম দিক থেকে হিমেল বাতাস সরাসরি এখানে আসছে। এতে তেঁতুলিয়ার ওপরে দিয়ে কখনো মৃদু, কখনো মাঝারি আর কখনো তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে দিনের বেলা সূর্যের সঙ্গে রোদের দেখা মিললেও উত্তরের হিমবায়ুতে সেই রোদের তেমন তীব্রতা থাকছে না। আকাশ মেঘমুক্ত হলে দিনে রোদের দেখা মিলছে আর রাতের তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে।

পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, জেলার শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ইতিমধ্যে ৪২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিচ্ছিন্নভাবে জেলার বিভিন্ন এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ করছে।

সূত্র: প্রথম আলো




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top