ঢাকা বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১

অনিরাপদ ভবনে পোশাক কারখানা, ঝুঁকিতে এলাকাবাসী


প্রকাশিত:
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২২:০০

আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:২৫

অনিরাপদ ভবনে পোশাক কারখানা, ঝুঁকিতে এলাকাবাসী

সদরঘাটের লয়্যাল স্ট্রিট এলাকায় অনিরাপদ ভবনে পোশাক কারখানা পরিচালনার কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এলাকাবাসী। সেই ভবনের পরিত্যক্ত কাপড় থেকে অন্য ভবনে আগুন লাগলেও টনক নড়ছে না ভবন মালিকের। ভবনের নিচে দোকান ও ওপরে পোশাক কারখানা চললেও রাখা হয়নি অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা। এমনকি কারখানা থেকে পরিত্যক্ত কাপড় পড়ে নষ্ট হচ্ছে পাশের ভবন। এতে অন্যদের ক্ষতি হলেও কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না ঐ ভবন মালিক।

সরেজমিন দেখা যায়, লয়্যাল স্ট্রিটের হাজি রওশন আলী ভবনের কারখানার পরিত্যক্ত কাপড় পড়ে স্তূপ জমেছে পাশের বিআইএস ভবনে। টানা প্রায় ২০ বছর ধরে এই পরিত্যক্ত কাপড় পড়ছে বলে জানায় স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, এই ভবন থেকে টুকরা কাপড় পড়ার কারণে পাশের ভবনের ছাদের পলেস্তারা নষ্ট হচ্ছে। কাপড় জমার কারণে ছাদের পানিও সরে না। কিছু দিন পরপর পরিষ্কার করলেও আবার আগের মতো ভরে যায় ছাদ। এই পরিত্যক্ত কাপড় থেকে গত ৩১ জানুয়ারি ভোরে আগুন লাগে পাশের ভবন বিআইএসে। স্থানীয়রা খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট বিআইএস ভবনের পাশের গলির দোকানের তালা কেটে ছাদের ওপরে উঠে আগুন নেভায়। এই ঘটনার পরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এলাকাবাসী। দ্রুত পোশাক কারখানার কার্যক্রম বন্ধ না করলে যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফুটপাতের এক ফল বিক্রেতা জানান, হাজি রওশন আলী ভবন বিআইএস ভবনের সঙ্গে ঘেঁষে যেভাবে গড়ে তোলা হয়েছে, আগুন লাগলে কেউ রক্ষা পাবে না। এ বিষয়ে জানার জন্য একাধিকবার হাজি রওশন আলী ভবনের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ভবনটির ম্যানেজার মো. মোস্তফা জানান, বহু বছর ধরে তাদের ভবনের ওপরের তলায় ছোট গার্মেন্টস চলছে। তাই জানালা খোলা থাকায় কিছু টুকরা কাপড় অন্য ভবনে গিয়ে পড়ে। তবে তারা আগুন লাগার ঘটনার পরে থাই আর নেট দিয়ে যাতে কাপড় অন্য ভবনে না যায় সেজন্য ব্যবস্থা করবেন বলে তিনি জানান।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top