ঢাকা রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫শে ভাদ্র ১৪৩১

দূষণ নেই প্রমাণে নদীতে সাঁতরালেন মেয়র


প্রকাশিত:
১৮ জুলাই ২০২৪ ১৮:০৯

আপডেট:
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:৩৯

প্যারিসের সেইন নদী দূষণমুক্ত এবং এখানে সাঁতার কাটা নিরাপদ। এটি প্রমাণে নিজেই পানিতে নামেন মেয়র এনি হিদালগো। উপস্থিত মানুষের সামনে নদীতে সাঁতানোর পুরোটা সময় হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন তিনি।

এনবিসি নিউজের বুধবারের (১৭ জুলাই) প্রতিবেদনে বলা হয়, এ নদীতে ‘গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ’ হিসেবে পরিচিত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের ইভেন্ট আয়োজনের কথা রয়েছে। ২৬ জুলাই প্যারিসে এ মহা ক্রীড়ার আসর বসবে। তার মধ্যে সেইন নদীতে ম্যারাথন সাঁতার, রোয়িং ও ক্যানোয়িংসহ একাধিক ইভেন্ট আয়োজন করা হবে। কিন্তু দূষণের কারণে নদীটি অ্যাথলেটদের জন্য নিরাপদ নয় বলে জনমনে শঙ্কা জাগে।

এরপর বছরব্যাপী সিটি কর্তৃপক্ষের পরিচ্ছন্ন অভিযানের পর এটিকে নিরাপদ ঘোষণা করা হয়। এতেই ক্ষান্ত না হয়ে সুইমিং স্যুট পরে মেয়র এনি হিদালগো নিজেই সাঁতার কাটেন। তার সঙ্গে আয়োজক কমিটির অন্যান্যরাও যোগ দেন। পরে মেয়র জানান, হ্যাঁ, পানি সম্পূর্ণ পরিষ্কার। কোনো অস্বাস্থ্যকর উপাদান নেই। এমনকি তাপমাত্রাও সহনীয়।

এদিকে প্যারিস অলিম্পিকে পড়েছে রাজনীতির ছায়া। কারণ, নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর দল রেনেসাঁ পার্টির নেতৃত্বাধীন এনসেম্বল জোট দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আসন সংখ্যায় শীর্ষে আছে বামপন্থি দলগুলোর জোট ‘নিউ পপুলার ফ্রন্ট’। তারাও ফরাসি পার্লামেন্টের ম্যাজিক ফিগার ২৮৯ থেকে অনেক দূরে। এমন পরিস্থিতিতে মাখোঁর দলের প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল পদত্যাগ করেছেন। ফলে সংকটে পড়েছে প্যারিস অলিম্পিকের আয়োজক কমিটি। কে করবেন উদ্বোধন, তা নিয়ে সংকটে পড়েছে তারা। প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধন হবে ২৬ জুলাই।

এই সময়ের মধ্যে ফ্রান্সের রাজনৈতিক সংকট কেটে গেলে ভালো। না কাটলে আয়োজকরা বিপদে পড়বে। ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হবে। অলিম্পিকের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন বলেছেন, ‘অলিম্পিকের সব প্রস্তুতি শেষ। ইভেন্ট শুরুর অপেক্ষায় রয়েছি আমরা। সারা দুনিয়াকে স্বাগত জানাচ্ছি।’

ফ্রান্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া বিভাগের অধ্যাপক পল দিয়েশি বলেছেন, ‘অলিম্পিকের মতো গেমসের আয়োজকদের মূল উদ্বেগ থাকে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা, অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ, যান চলাচল ব্যবস্থার মতো বিষয়গুলো নিয়ে। এবার অলিম্পিক ঘিরে নতুন একটা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। যার সহজ সমাধান নেই। প্রায় সবকিছু নির্ভর করছে প্রেসিডেন্স মাখোঁর সিদ্ধান্তের ওপর। আয়োজকদের একটু ধৈর্য ধরতেই হবে।


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top