নগর পরিকল্পনা শুধুই নগরের নয়
বাংলাদেশে নগর পরিকল্পনার কথা বললে প্রথমেই মাথায় আসে রাজধানী ঢাকার কথা৷ আর ঢাকা যে একটি অপরিকল্পিত নগরী তা বলতে কারুর বিশেষজ্ঞ হতে হয় না৷ প্রায় দুই কোটি মানুষের এই নগরীর বৈশিষ্ট্যগুলো এখানে বসবাসকারী যে কেউ চোখ বুঁজে বলে দিতে পারবেন৷ ট্র্যাফিক জ্যাম, জলাবদ্ধতা, মশার অত্যাচার, শব্দদূষণ, অপরিকল্পিত আবাসন, বস্তি প্রভৃতি এই মহানগরীর প্রধান বৈশিষ্ট্য৷ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এবং জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (নিপোর্ট)-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন ঢাকা শহরের জনসংখ্যা বাড়ছে হাজার ৪১৮ জন করে৷ বছরে পাঁচ লাখ সাড়ে ১৭ হাজার নতুন অধিবাসী যুক্ত হচ্ছে এই শহরে৷ ফলে ঢাকা শহর উপরের দিকে যেমন বাড়ছে, বাড়ছে আনুভূমিকভাবেও৷ আর এই বৃদ্ধি হচ্ছে কোনো সমন্বিত পরিকল্পনা ছাড়াই৷
ঢাকায় ফ্লাইওভার হয়েছে৷ ভিআইপি রোড হয়েছে৷ মেট্রোরেলের কাজ হচ্ছে৷ নিত্যনতুন যানবাহন নামছে সড়কে৷ কিন্তু যানজট কমছে ন৷ নাগরিকদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে ট্রাফিক জ্যামে৷ ফুটপাথ থাকলেও তা দখল হয়ে আছে৷ একবার বক্স কালভার্ট করা হচ্ছে, করা হচ্ছে ট্রমিং ড্রেন৷ আবার বক্স কালভার্ট ভাঙার পরিকল্পনা হচ্ছে৷ কিন্তু জলাবদ্ধতা কমছে না৷ প্রাকৃতিক ড্রেন খাল ও নদী ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে৷ আবাসিক আর শিল্প এলাকা একাকার হয়ে যাচ্ছে৷ শিল্প বর্জ্যে দূষিত বুড়িগঙ্গাকে আজ চেনাই যায় না৷ প্রশ্ন হলো, কেন এমন হচ্ছে?
নগর পরিকল্পনাবিদ এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবান অ্যান্ড রিজিওন্যাল প্ল্যানিং বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. গোলাম মুর্তজা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘নগর পরিকল্পনা কোনো বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়৷ এটাকে সেগমেন্টেডভাবে চিন্তা করা যায় না৷ আমরা যে নগর ব্যবস্থাপনার করুণ অবস্থা দেখছি, তা বিচ্ছিন্ন চিন্তার ফল৷ একটি দেশের নগর পরিকল্পনা সেই দেশের জনসংখ্যা, ভূমির গঠন, অর্থনীতি, কাজের ধরন, প্রাকৃতিক পরিবেশ – এ সব কিছু বিবেচনায় রেখে করতে হয়৷ ঢাকা শহরে প্রতিদিন কত লোক আসছে? ভবিষ্যতে এর জনসংখ্যা কত হবে? তারা কী ধরনের পেশায় যুক্ত হবে? এখানকার ভৌগোলিক গঠন কী? এসব বিবেচনায় না নিয়ে নগর পরিকলল্পনা হয় না৷ এছাড়া সারা দেশের মানুষ ঢাকায় আসবে কেন? সারা দেশকে বিবেচনায় নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা করলে সবাই ঢাকায় ছুটত না৷''
নগর পরিকল্পনাবিদ এবং সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজ-এর সালমা এ শফি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘যেসব নদী-জলাশয় আমাদের সংরক্ষণ করা দরকার ছিল, আমরা তা করিনি৷ বরং সেগুলোর বিনাশ করেছি৷ ওপেন স্পেস পার্ক মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খুবই জরুরি৷ কিন্তু সেগুলো আমরা রাখিনি৷ একটি শহরে ২০ ভাগ পর্যন্ত রাস্তার জন্য ছাড়া হয়৷ কিন্তু আমাদের আছে শতকরা সাত ভাগেরও কম৷ খোলা জায়গা মোট আয়তনের কমপক্ষে ৩০ ভাগ থাকা উচিত৷ আমাদের শহরে ৫-৭ ভাগের বেশি খালি জায়গা নেই৷ তাছাড়া এখন পুরো শহরকেই তো গ্রিনারি বলা হয়৷ পুরো শহরেই সবুজের আচ্ছাদন তৈরি করা হয়৷ অথচ ঢাকা শহরে উত্তর থেকে দক্ষিণের প্রতিটি পার্কই যেন আমরা নষ্ট করে ফেলেছি৷ ওয়াটার বডি থাকা উচিত ১৫-১৬ ভাগ৷ এটা আমাদরও ছিল৷ কিন্তু আমরা সেসব ভরাট করে ফেলেছি৷''
তিনি বলেন, ‘‘ঢাকা শহরটাই গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিতভাবে৷ একটা শহরে হিসাব থাকে কী পরিমাণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকবে, কী পরিমাণ হাসপাতাল থাকবে৷ এগুলো এলাকাভিত্তিক হবে৷ এখন ধানমন্ডির বাচ্চারা যাচ্ছে উত্তরাতে পড়তে৷ উত্তরার বাচ্চা যাচ্ছে গুলশানে৷ একটা বিশৃঙ্খল অবস্থা৷ তার উপর যে কোনো রাস্তার ধারে মার্কেট, বহুতল ভবন গড়ে উঠছে৷ এরা পাওয়ার কনজিউম করছে, ট্র্যাফিক জ্যাম তৈরি করছে৷ তাই তো কোনো এলাকার মর্কেটগুলো যেদিন বন্ধ থাকে, সেদিন ওই এলাকা হয় সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ এলাকা৷''
নগর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয় না
নগর পরিকল্পনাবিদদের বিভিন্ন সময়ের আলোচনা, তাঁদের লেখা নিবন্ধ এবং সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৯১৭ সালে স্যার প্যাট্রিক গেডিস ঢাকা শহরের জন্য একটি প্ল্যান করেছিলেন৷ এরপর ১৯৫৯ সালে ঢাকা, ১৯৬১ সালে চট্টগ্রাম, ১৯৬৬ সালে খুলনা এবং ১৯৮৪ সালে রাজশাহী শহরের জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়৷ এই মাস্টারপ্ল্যান ছিল ২০ বছর মেয়াদি৷ এইসব মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী, বেশ কিছু অবকাঠামো, আবাসিক এলাকা, বাণিজ্যিক এলাকা তৈরি করা হয়৷ কিন্তু পুরো পরিকল্পনা কখনোই বাস্তবায়ন হয়নি৷
২০১৬ সালের অক্টেবরে দৈনিক প্রথম আলোর আয়োজনে ‘নগর-পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন' শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে উঠে আসে নগর পরিকল্পনা সংক্রান্ত অনেক তথ্য৷ সেখানে বলা হয়, ১৯৫৯ সালে যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেটা ছিল ১৫ লাখ মানুষের জন্য৷ ১৯৭৪ সালে ঢাকার লোকসংখ্যা হলো প্রায় ২০ লাখ৷ ১৯৮০ সালে ৩৫ লাখ৷ ১৯৯১ সালে ৬৫ লাখ৷ ২০০১ সালে এই মহানগরের লোকসংখ্যা দাঁড়ায় এক কোটির বেশি৷ আর এখন প্রায় দুই কোটি৷ ১৫ লাখ লোকের জন্য যে পরিকল্পনা, সেই পরিকল্পনা দিয়েই মূলত এখনো ঢাকা শহর চলছে৷ পরে যেসব পরিকল্পনা হয়েছে, তা সামান্যই বাস্তবায়ন হয়েছে৷
আশির দশকে নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে দেশের ৫০টি জেলা ও ৩৯২টি উপজেলা শহরের ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা প্রণয়ন হলেও তা বাস্তবে কোনো কাজে লাগানো হয়নি৷
১৯৫৩ সালে ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (বর্তমানে যা রাজউক) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ঢাকার পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণের জন্য৷
১৯৮১ সালে প্রণীত ‘ঢাকা মহানগরী এলাকার সমন্বিত পরিকল্পনা' বাস্তবায়নের এখতিয়ার কোনো প্রতিষ্ঠানের হাতে ছিল না৷
১৯৯৭ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত আরবান প্ল্যান তৈরি করা হয়, কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি৷
২০১০ সালে ড্যাপ (ঢাকা ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান) তৈরি করা হয়৷ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশি পরিকল্পনাবিদরা এই ড্যাপ তৈরির কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন৷ কিন্তু সেই ড্যাপ-ও বাস্তবায়ন করা যায়নি৷ তাই এখন চলছে ড্যাপ সংশোধনের কাজ৷
আশার আলো জাগিয়েছিল ড্যাপ
ড্যাপ-এর কাজের তিনটি ভাগ নির্ধারণ করা হয়৷ প্রথম ভাগটি হচ্ছে ঢাকা মহানগরের প্রতিটি মৌজার সব জমির শ্রেণিবিন্যাস করা৷ কোনটি কৃষিজমি, কোনটি আবাসনের, কোনটি বন্যাপ্রবাহ অঞ্চল তা নির্ধারণ করা৷
দ্বিতীয়ভাগে ড্যাপ চূড়ান্ত হওয়ার আগে যেসব স্থাপনা বা অবকাঠামো তৈরি হয়েছে, সেগুলোকে ড্যাপ-এর আলোকে সংশোধন ও পরিমার্জন করা৷ এই কাজ করতে গিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি ১৬টি প্রকল্প এবং ২ হাজার ৭২৪টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ড্যাপ-এর সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে৷ সেগুলো সরিয়ে নিয়ে কৃষিজমি, বন্যাপ্রবাহ অঞ্চল ও জলাশয় পুনরুদ্ধার করার কথা ছিল৷ তৃতীয় ভাগে ড্যাপ অনুযায়ী প্রকল্প অনুমোদন দেয়ার কথা বলা হয়৷
ড্যাপভুক্ত মোট এলাকা ১৫২৮ বর্গকিলোমিটার৷ এই এলাকার ৩২ দশমিক ১৮ শতাংশ সংরক্ষিত রাখা হয়েছে বন্যাপ্রবাহ অঞ্চল, জলাভূমি ও জলাশয় হিসেবে৷
এরকম সংরক্ষিত ভূমির প্রায় আড়াই হাজার একর ভূমিতে আবাসন প্রকল্পসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে৷ ড্যাপ এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হয়েছে ২ হাজার ৭২৪টি ছোট-বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান৷
১৯৯৩-৯৫ সালে যুক্তরাজ্যের একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ঢাকা মহানগর উন্নয়ন পরিকল্পনা (ডিএমডিপি) করা হয়৷ তার আলোকেই করা হয়েছিল ড্যাপ৷ কিন্তু ড্যাপ বাস্তবায়ন হয়নি৷ এখন ড্যাপ সংশোধন করে করা হচ্ছে নতুন কাঠামো পরিকল্পনা (স্ট্রাকচারাল প্ল্যান)৷
অধাপক ড. গোলাম মুর্তজা বলেন, ‘‘পরিকল্পনা এ পর্যন্ত খারাপ হয়নি৷ কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয় না৷ রাজউক তেমন কোনো কাজ করে না৷ অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান এই নগর পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত৷ তবে তাদের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই৷ কোনো ইন্টিগ্রেটেড অথরিটি নেই৷ সিটি কর্পোরেশন তার মতো কাজ করে৷ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গণপূর্ত, সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করে৷ তাতে যা হয়, যে যার মতো নগর উন্নয়ন করে৷ এতে বিশৃঙ্খলা বাড়ে৷''
তিনি বলেন, ‘‘দেশের ছয়টি বিশ্ববিদ্যলয়ে এখন নগর পরিকল্পনা পড়ানো হয়৷ দেশে গর্ব করার মতো নগর পরিকল্পনাবিদ আছেন৷ তারপরও কাজ হয় না৷''
নগর পরিকল্পনা পাঠ
সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজ-এর সালমা এ শফি বলেন, ‘‘একটি নগরের পরিকল্পনা করতে হলে তার ভৌগোলিক ও জনসংখ্যাগত গঠন এবং তার আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিতে হবে৷ এর প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলো কী তা জানতে হবে৷ যেমন, আমরা যদি ঢাকা শহরের কথা ধরি, তাহলে, আমাদের জানতে হবে ঢাকা শহরে কত মানুষ আছে এবং তাদের শ্রেণিবিন্যাস কী৷ তারা কীভাবে থাকে, কী ধরনের কাজ করে৷ জানতে হবে, ঢাকার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য কী৷ ঢাকা গড়ে উঠেছে নদীর তীরে৷ ঢাকায় ছিল নদী-খাল৷ এক ধরনের ড্রেনেজ সিস্টেম গড়ে উঠেছিল৷ এই বৈশিষ্ট্যগুলো বজায় রাখা যেতে পারে৷ ঢাকায় কী পরিমাণ খালি জায়গা, কতটুকু জলাভূমি৷ এসব দেখেই ঢাকার নগর পরিকল্পনা করতে হবে৷ আর এই প্ল্যান হতে পারে পাঁচ বছর বা দশ বছরমেয়াদি৷ অর্থাৎ নতুন জিনিস করতে হবে আর পুরানো জিনিসকে ঠিক করতে হবে৷''
পরিকল্পনার মেয়াদ
সালমা এ শফি বলেন, ‘‘সাধারণভাবে পুরো নগরের প্ল্যান করা হয় ২০ বছর মেয়াদে৷ এর যোগাযোগব্যবস্থা নিয়ে ভাবতে হবে৷ আমরা যদি সার্কুলার রেল করি, তাহলে সেটা করতে ২০ বছর লাগবে৷ আর ১০-১৫ বছর সড়কগুলো ডেভেলপ করতে লাগবে৷ আর স্বল্পমেয়াদে পরিকল্পনা করা হয় লোকাল এরিয়া প্ল্যান৷ এই যেমন, ধানমন্ডিতে এ মুহূর্তে কী প্রয়োজন৷ একটি ওয়ার্ডে যদি পাঁচ লাখ লোক থাকে, তবে সেখানকার আবর্জনা পরিষ্কার করতে স্থানীয়ভাবে একটি সিস্টেম থাকা দরকার৷ এই পাঁচ লাখ লোকের জন্য কতটুকু রাস্তা, কতটুকু খালি জায়গা রাখা দরকার, সেটা প্ল্যান করতে হবে৷ এটা পাঁচ বছরেই করা সম্ভব৷ এভাবে একটি শহরকে ১০টি জোনে ভাগ করে লোকাল প্ল্যানগুলো পাঁচ বছরেই বাস্তবায়ন সম্ভব৷ সব কিছুর জন্য ২০ বছর দরকার নেই৷ ২০ বছর ঘুমিয়ে থেকে তারপর বলবে ও এটার মেয়াদ তো শেষ হয়ে গেছে, তা হবে না৷''
আবাসন
ঢাকা শহরে আবাসন বলতে এখন বেসরকারি ডেভেলপারদের হাউজিং প্রকল্প বোঝায়৷ অভিযোগ আছে, তারাই নগরীর জলাধার ভরাট করছে, নদী দখল করছে৷
সালমা এ শফির মতে, ‘‘ঢাকা শহরের আবাসন প্ল্যান বড় করে দেখা হয় ডেভলপারদের স্বার্থে৷ ঢাকা শহরের ৪০ ভাগ মানুষ একেবারেই নিম্নবিত্ত৷ তাদের আবাসন নিয়ে ভাবা হয় না৷ হাউজিংয়ের নামে অপরিকল্পিতভাবে নগরী বেড়ে উঠছে৷ নিম্নবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্তের জন্য আবাসন চিন্তা করা হলে নগরী পরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠতো৷ অ্যামেরিকা, ইংল্যান্ড, নর্থ অ্যামেরিকায় শতকরা পাঁচ ভাগ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ফ্ল্যাটে উঠা যায়৷ ঢাকায় নিম্নবিত্ত বস্তিতে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে একটি মাত্র রুমে ভাড়া থাকে মানুষ৷ সঠিক পরিকল্পনা থাকলে এই পাঁচ হাজার টাকা মাসিক ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ছোট আকারের ফ্ল্যাট দেয়া সম্ভব৷''
অধ্যাপক ড. গোলাম মুর্তজার কথায়, ‘‘ঢাকা এখন কীভাবে বাড়বে, তা ঠিক করা প্রয়োজন৷ এটা উপরে বাড়ছে৷ তাই ঢাকার যা অবস্থা, সেটা বিবচেনায় নিয়েই আমাদের নগর পরিকল্পনার কাজ করতে হবে৷ এই অবস্থার মধ্যে ঢাকাকে বাসযোগ্য রাখা এবং বাসযোগ্য করাই ঢাকা মহানগরীকেন্দ্রিক নগর পরিকল্পনার লক্ষ্য হওয়া প্রয়োজন৷''
সূত্র: https://www.dw.com/bn/a-43019385
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: