ঢাকা শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


১৫ অক্টোবর বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস


প্রকাশিত:
১৫ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:৪৯

আপডেট:
১৬ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:১৭

ফাইল ছবি

পরিবেশ টিভি: আজ ১৫ অক্টোবর বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমরা ১২তম বারের মতো দিবসটি পালন করতে যাচ্ছি। ঢাকাসহ অন্যান্য জেলা, উপজেলা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আলোচনা অনুষ্ঠান, র‌্যালি, স্কুলের বাচ্চাদের হাত ধোয়ার সঠিক পদ্ধতি দেখানো ও বুঝিয়ে দেয়ার মাধ্যমে এ দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।

কয়েক বছর আগে অক্টোবরকে জাতীয় স্যানিটেশন মাস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাই দিবসটি আমাদের জনগণের মধ্যে আরও বেশি সচেতনতা ও বাড়তি ব্যঞ্জনা নিয়ে আসে।

২০০৮ সালে সুইডেনের স্টকহোমে বিশ্ব পানি সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্ঠানে গ্লোবাল হ্যান্ড ওয়াশিং পার্টনারশিপে সর্বপ্রথম হাত ধোয়া সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এ দিনটি উদযাপনের সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তী সময়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রতিবছর ১৫ অক্টোবর দিনটি উদযাপনের বিষয়টি অনুমোদিত হয়।

এর উদ্যোগী সংস্থাগুলো হল- FHI 360 (আমেরিকাভিত্তিক একটি অলাভজনক মানব উন্নয়ন সংস্থা) ইউনিসেফ, ইউনিলিভার, ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন, প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বেল, বিশ্বব্যাংকের পানি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রোগ্রাম এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা (ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট)। প্রতিবছর বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বের ২০ কোটিরও বেশি মানুষ গ্লোবাল হ্যান্ড ওয়াশিং ডে উদযাপন করে।

বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসের মূল লক্ষ্য হল, সব দেশের মানুষকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার আওতায় নিয়ে আসা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা। প্রথমে স্কুলের শিক্ষার্থীরা এ ক্যাম্পেইনের মূল টার্গেট হলেও অল্প কিছুদিনের মধ্যে বিশ্বজুড়ে সব বয়সী মানুষের মধ্যে সাবান দিয়ে সঠিকভাবে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ-প্রতিরোধের মাধ্যমে শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনাই এ প্রচারণার অন্যতম উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায়।

সঠিকভাবে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে পারলে প্রায় ২০টি রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সাবান দিয়ে দু’হাত ভালোভাবে কচলিয়ে ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। ছয় ধাপে হাত ধোয়া সম্পন্ন করলে জীবাণুমুক্ত হওয়া যায় মর্মে অভিজ্ঞজনরা মতামত ব্যক্ত করেছেন।

প্রত্যেক পরিবারে শিশুসন্তানদের ছোটবেলা থেকেই মলমূত্র ত্যাগের পরে ও খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করাতে হবে। অনেক বাচ্চার অকারণে আঙুল চোষা, এমনকি স্থান-কাল ও বয়স নির্বিশেষে অনেকেরই যখন-তখন চোখ, মুখ, কান, নাকে হাত দেয়া ও ঘষা স্বভাবে পরিণত হয়েছে।

এ বিষয়গুলো যেমন শিষ্টাচারবহির্ভূত, একই সঙ্গে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য হুমকিস্বরূপ। সাবান দিয়ে শুধু হাত ধুলেই চলবে না, এ ধরনের দৃষ্টিকটু বদঅভ্যাস থেকেও সরে আসতে হবে।

উন্মুক্ত প্রান্তর বা খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ পরিহার, পয়ঃবর্জ্যরে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ল্যাট্রিন ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণের মাস এটি। যেখানে-সেখানে মলত্যাগ, টয়লেটের বর্জ্য পাইপের মাধ্যমে খাল-বিল, নদী-নালা, ডোবায় ফেলার অভ্যাস থেকে আমরা আরও আগেই সরে আসতে পেরেছি।

এখন পল্লী অঞ্চলেও সব পরিবারে অন্তত একটি হলেও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট পাওয়া যাবে। পুরো দেশই ১০০ শতাংশ স্যানিটেশন কভারেজের আওতায় এসে গেছে। এ ব্যাপারে আমরা প্রতিবেশী দেশগুলো অপেক্ষা অনেক বেশি এগিয়ে আছি।

এটাকে ধরে রাখতে হবে, সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এগুলো প্রচার করতে হবে।

সূত্র: যুগান্তর




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top