ঢাকা মঙ্গলবার, ১৪ই মে ২০২৪, ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


তীব্র শীতে কাঁপছে গোটা ভারত, দিল্লীতে “রেড অ্যালার্ট”


প্রকাশিত:
১৪ জানুয়ারী ২০২৪ ১৮:১৫

আপডেট:
১৪ মে ২০২৪ ২৩:২৩

হাড়কাঁপানো ঠান্ডা ও হিম হাওয়ার ছোবলের দোসর ঘন কুয়াশা। দুই সপ্তাহ ধরে রাজধানী দিল্লিসহ কম্পমান গোটা উত্তর ভারত কবে একটু স্বস্তি পাবে, কেউ জানে না।

গত সোমবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে জানিয়েছিল ‘মৌসুম বিভাগ’ (আবহাওয়া অফিস)। কিন্তু শুক্রবার থেকে অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।  শনিবার দিল্লির কোনো কোনো এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। জারি হয়েছে ‘রেড অ্যালার্ট’।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন এ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার আশা কম। ঠান্ডা থাকলেও রোদ উঠলে কিছুটা স্বস্তি মেলে। কিন্তু সে আশাও আবহাওয়া অফিস জোগাতে পারছে না। মাঝেমধ্যে রোদ উঠলেও তা ঘোলাটে ও ক্ষণস্থায়ী।

ঘন কুয়াশার কারণে দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে বিমান ও রেল চলাচল। গত শুক্রবার দিল্লিসহ উত্তর ভারতের দৃশ্যময়তা শূন্যে নেমে গিয়েছিল। এ কারণে বহু বিমান ও ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। শুধু বিমান ও ট্রেনই নয়, হাইওয়েতে যান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। বাড়ছে দুর্ঘটনা। আজ দৃশ্যমানতার সামান্য উন্নতি দেখা গেলেও আগামী দিনে তা বাড়তে পারে। রেড অ্যালার্ট জারি করার উদ্দেশ্য সবাইকে সতর্ক করা।

দিল্লির আয়ানগরে গতকাল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যত্র কোথাও ৩ দশমিক ৪, কোথাও বা সাড়ে তিন ডিগ্রি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৮ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। কুয়াশা ও তিরতিরে উত্তুরে হিম হাওয়ার দরুন শীতের অনুভব আরও তীব্র। রোদ সেভাবে না ওঠায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে। বোঝার ওপর শাকের আঁটি হয়ে দাঁড়িয়েছে দূষণ।

গতকাল সকাল ৯টার সময় দিল্লির ‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স’ (একিউআই) বা বাতাসের গুণমান ছিল ৩৬৫, যা কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ‘অত্যন্ত খারাপ’। একিউআই ৪০০-র ওপরে চলে গেলে তা ‘বিপজ্জনক’ পর্যায়ে পৌঁছায়।

একদিকে ঠান্ডা, অন্যদিকে দূষণের কারণে অসুখবিসুখও মাথাচাড়া দিচ্ছে। সরকারি হাসপাতালগুলোয় বয়স্ক মানুষের ভিড় বাড়ছে। দ্বারকার ইন্দিরা গান্ধী স্মৃতি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বয়স্ক মানুষজনের আনাগোনা বেড়ে গেছে। আবহাওয়া অফিসের অনুমান, আগামী তিন দিন এমনই দুঃসহ অবস্থা চলবে। দিল্লিতে সাধারণত জানুয়ারি মাসে একবার বৃষ্টি হয়। তারপর থেকে ঠান্ডার প্রকোপ ও দূষণের মাত্রা কমতে থাকে। এবার কবে বৃষ্টি আসবে, সে আভাস আবহাওয়া অফিস এখনো দিতে পারেনি।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top