ঢাকা শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


বালুতেই ফল চাষ


প্রকাশিত:
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৩৩

আপডেট:
৩ মে ২০২৪ ০০:৩৮

বালু জমিতে মিশ্র ফলের বাগান করেছেন আতাউল করিম অতুল। ৭০ রছর বয়সী এই লোক একাধারে কবি ও লেখক। রংপুরের হারাগাছের চর ধুমগাড়া এলাকায় তিন একর শতভাগ বালু জমিতে বাগান করে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। নাম দিয়েছেন হাজী জিয়ারত উল্লা কৃষি পল্লী। পাশেই রয়েছে পুকুর যেখানে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। বাগানে অন্তত ২ শত ভারত সুন্দরী বড়ই গাছ, ২ শত পেঁপে, আমগাছ ৫০টি, লিচু গাছ ৩৫টি, সুপার ভাগোয়া বেদানা ১০০টি, কমলা ফলের গাছ ১০টি, মালটার গাছ ৩৫টি, লটকন ১০টি, তেজপাতা গাছ ৮০টি রয়েছে।

বাগানে গাছের ফাঁকে ফাঁকে চাষ করা হয়েছে পেয়াজ, রসুন। বাগান ঘিরে রয়েছে কয়েকটি কলা গাছ। ধুমগাড়া চরে গড়ে উঠা হাজী জিয়ারত উল্লা কৃষি পল্লী বাগান কৃষি সংশ্লিষ্টরা পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অতুলের দেখাদেখি অনেকে বালু চরে বাগান করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তার বাগানের ভারত সুন্দরী বড়ই বিক্রি হচ্ছে রংপুর সিটি বাজারে। ব্যাপারীরাও বাগানে এসে বড়ই ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। এর পর আসবে আমের মৌসুম। বিক্রি করছেন পেঁপেও।

বাগানের প্রতিষ্ঠাতা কবি আতাউল করিম অতুল জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে আমি ধন্য। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান হলো ‘এক ইঞ্চি পতিত জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না’। ওই আহ্বানে সাড়া দিয়ে চর ধুমগাড়ায় শতভাগ বালু জমিতে মিশ্র ফলের বাগান করার চিন্তা করি। প্রথমে সবাই আমাকে নিরুৎসাহিত করে। সবার কথা বালুতে কিছু হয় না। চিন্তা করি কী ভাবে কী করা যায়। এক সময় মনে হলো বালুতে গর্ত করে ভালো মাটি এনে সেই গর্ত ভরাট করলে কেমন হয়। যেই ভাবনা, সেই কাজ। ভালো মাটি এনে গোবরসহ গর্ত ভরাট করে লাগালাম বিভিন্ন ফলের চারা। দিলাম প্রচুর পরিমান পানি। সব চারা এখন ফলদায়ক বৃক্ষ। তার এই বাগান করতে ২০ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে।

তিনি বলে, নদীমাতৃক দেশ আমাদের নদীর অববাহিকায় প্রচুর বালু। বাগানের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মরা তিস্তা। এখন অনেকেই ফল বাগানের দিকে ঝুকছে। বাগানগুলো হচ্ছে কৃষি জমিতে। ধীরে ধীরে কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। আমি যে পদ্ধতিতে বাগান করেছি। সেই ভাবে যদি বাগান করা হয়। তাহলে আমরা নদীর দুইপাড়ের বালু জমিতে ফসল উৎপাদন করতে পারব। আর কৃষি জমিতে থাকবে কৃষি ফসল। ফল ফসলে ভরে উঠবে দেশ।

কাউনিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানাজ পারনি বলেন, আমি বাগান পরিদর্শন করেছি। এটি একটি ভাল উদ্যোগ। তার দেখাদেখি অনেকেই হয়ত বালুতে বাগান করবে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top