ঢাকা রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫শে ভাদ্র ১৪৩১


মহাকাশ থেকে বার্তা পাঠালেন সুনীতা


প্রকাশিত:
১১ জুলাই ২০২৪ ২১:১২

আপডেট:
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৫২

মাত্র ১০ দিনের অভিযানে মহাকাশে গিয়েছিলেন, কিন্তু সে সময়সীমা এক মাসের বেশি হয়ে গেছে। ফলে কবে আবার পৃথিবীতে ফিরবেন সুনীতা উইলিয়ামস ও তার সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোর, তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

নাসার তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে নিরাপদেই আছেন সুনীতারা। এ পরিস্থিতিতেই মহাকাশ থেকে সরাসরি পৃথিবীবাসীকে বার্তা দিলেন সুনীতা উইলিয়ামস। নাসার ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় সুনীতার বার্তা। এ লাইভ বার্তায় পৃথিবীতে ফেরার বিষয়ে বার্তা দেন দুই মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর।

মহাকাশযানের যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়ে উইলমোর বলেন, ‘আমরা ত্রুটিগুলো নিয়ে আলোচনা করছি। যদি আইএসএসের সঙ্গে কোনো সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে আমি নিশ্চিত যে আমরা আমাদের টিমের সাহায্যে বাড়ি ফেরার একটা উপায় বের করতে পারব। আমার ভালো লাগছে যে, মহাকাশযানটি আমাদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসবে।’

নাসার কর্মকর্তারা এদিন বলেন, জুলাইয়ের শেষের দিকে নজর রাখা হচ্ছে। লাইভে কথোপকথনের সময় নিজের একটি অভিজ্ঞতার কথাও শেয়ার করেন সুনীতা। একটি ঘূর্ণিঝড়কে কক্ষপথ থেকে হারিকেনে রূপান্তরিত হতে দেখার অভিজ্ঞতা কেমন, তা জানিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এ মহাকাশচারী।

নাসা আয়োজিত মহাকাশ থেকে সরাসরি পৃথিবীতে বার্তা দেওয়ার এ লাইভটির নাম দেওয়া হয় আর্থ-টু-স্পেস। সেখানে সুনীতা জানান, ‘হারিকেনটি বেশ চিত্তাকর্ষক। আমি আসলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবের প্রায় দেড় সপ্তাহ আগে আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলে একটি ঝড়ের ছবি তুলেছিলাম এবং আমি প্রায় ৯৮ শতাংশ নিশ্চিত যে এটিই বিরল ছিল।’

মিশনের আপডেট সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে সুনীতার সহযাত্রী বুচ উইলমোর বলেন, ‘এই উৎক্ষেপণটি দর্শনীয় ছিল এবং মহাকাশ যানটি অবিশ্বাস্যভাবে ভালো পারফর্ম করেছে। এটি একটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইট ছিল। আমরা আমাদের দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। থ্রিডি-প্রিন্টেড মুন মাইক্রোস্কোপ এবং জিন সিকোয়েন্সিং ব্যবহার করে বিজ্ঞানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা আমাদের অভিযানে শামিল করা হয়েছে।’

বোয়িং স্টারলাইনারের পরীক্ষামূলক ফ্লাইটটি মাত্র আট দিনের মধ্যে পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু মহাকাশযানে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বিলম্ব হচ্ছে। নাসার তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, স্টারলাইনার ৪৫ দিন পর্যন্ত আইএসএসে থাকতে সক্ষম। বর্তমানে সেখানে তাদের ৩৫ দিন হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মহাকাশযানটি পৃথিবী ছাড়ার পরই পাঁচটি হিলিয়াম ফুটো হয়ে যায়। এর ফলে নষ্ট হয়ে যায় পাঁচটি ম্যানুভারিং থ্রাস্টার। এটি ছিল নাসার বাণিজ্যিক ক্রু প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে স্টারলাইনারের প্রথম ক্রু মিশন।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top