ঢাকা বুধবার, ৮ই মে ২০২৪, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১


পৌরবর্জ্যে ধুঁকছে ঝিনাই নদী, দুবছরেও হয়নি ডাম্পিং স্টেশন


প্রকাশিত:
১৫ আগস্ট ২০২৩ ২২:১১

আপডেট:
৮ মে ২০২৪ ০৭:৩৩


প্রায়
দুছরেও হয়নি জামালপুর পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশনের নির্মাণ কাজ। কাজেই সব পৌরবর্জ্য ফেলা হচ্ছে ঝিনাই নদীতে। ফলে একদিকে যেমন ভরাট হচ্ছে নদী, অন্যদিকে নষ্ট হচ্ছে নদীর পানি। এতে ধ্বংসের মুখে জলজ প্রাণীসহ জীববৈচিত্র্য। এছাড়াও বর্জ্যের দুর্গন্ধে এলাকাবাসী যেমন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে, তেমনি মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে গোটা পরিবেশ।

তবে পৌর মেয়র জানালেন, আগামী দুমাসের মধ্যে শেষ হবে ডাম্পিং স্টেশনের নির্মাণ কাজ। আর তাতে পৌরবাসীর ভোগান্তি আর থাকবে না।

এলাকাবাসী বলছেন, নদীর অবস্থা খুব খারাপ। ময়লা -আবর্জনাসহ সব বর্জ্যই ফেলা হচ্ছে নদীতে। এতে কালো হয়ে গেছে নদীর সব মাছ; খাওয়া যায় না। জাল ফেলে ধরার পর সব মাছ ফেলে দিতে হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে যেমন বাড়িঘরে থাকা যাচ্ছে না, মাছির জন্য রান্না, খাওয়া, ঘুম কোন কিছুই ঠিকমতো করা সম্ভব হচ্ছে না।

একশ ৩৩ কিলোমিটার (৮৩ মাইল) দৈর্ঘ্যের ঝিনাই নদী বাংলাদেশের উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের শেরপুর, জামালপুর টাঙ্গাইল জেলার একটি নদী। নদী রক্ষায় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি এলাকাবাসীর পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনেরও।

জামালপুর পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, অবিলম্বে ডাম্পিং স্টেশনটা এমনভাবে বর্জ্য প্রতিরোধক করা হোক, যাতে লিক করবে না এবং কোনোভাবেই আবর্জনা বর্জ্য ঝিনাই নদীতে পড়বে না।

জামালপুরের পৌর মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু বলেছেন, ডাম্পিং স্টেশনের নির্মাণ কাজ শেষ হলে ভোগান্তি কমে যাবে। প্রকল্পের কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এখন যন্ত্রপাতি স্থাপনের মাধ্যমে পরিবহনের ব্যবস্থা করা গেলেই এর ১০০ শতাংশ কাজ শেষ হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আর তাহলেই আমরা জামালপুর পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ডাম্পিং-এর কার্যক্রম শুরু করতে পারবো। তাতে পরিবেশ আর নষ্ট হবে না। আমরা শহরে একটি পরিবেশবান্ধব ডাম্পিং ব্যবস্থা করতে সক্ষম হবো।

২০২১ সালে পৌর এলাকার কম্পপুর গ্রামে ১২ একর জমির ওপর ডাম্পিং স্টেশনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ কোটি টাকা।
সাম্প্রতিক সময়


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top