ঢাকা শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


গাইবান্ধার প্রত্যন্ত চরে হচ্ছে সৌর বিদ্যুতের গ্রাম


প্রকাশিত:
২৪ আগস্ট ২০২২ ০৪:৪৪

আপডেট:
২৪ আগস্ট ২০২২ ০৪:৪৪

রাজধানীর কাওরানবাজারে সৌর বিদ্যুত গ্রামের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান

যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গাইবান্ধার প্রত্যন্ত চর কাবিলপুরে চালু হচ্ছে সৌর বিদ্যুত গ্রাম। যৌথভাবে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে আন্তর্জাতিক সামাজিক সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ এবং দেশের বৃহত্তম উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠান সামিট কর্পোরেশন। চর কাবিলপুরে প্রতিষ্ঠিত এ উদ্যোগের নাম দেয়া হয়েছে ‘ফ্রেন্ডশিপ-সামিট সোলার ভিলেজ প্রকল্প’। প্রকল্প বাস্তবায়ন উপলক্ষে রাজধানীর কাওরান বাজার সামিট ভবনে আয়োজন করা হয় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। সামিট কর্পোরেশন লিমিটেডের পরিচালক আজহারুল হক এবং ফ্রেন্ডশিপের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক রুনা খান, নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় চর কাবিলপুরে সৌর গ্রাম প্রতিষ্ঠা এবং এর প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন তারা। 

২,৪২৭ বর্গমিটার আয়তনে গাইবান্ধা ফুলছড়ি উপজেলার কাবিলপুর চরে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ৫৪ কিলোওয়াট ক্ষমতার সোলার ভিলেজ বা সৌর গ্রাম, যার সুবিধা পাবে এক হাজারেরও বেশি মানুষ। গ্রামের হত-দরিদ্র ১৭৯টি পরিবার এবং ২৬টি দোকানীসহ মোট ২০৫ গ্রাহক এই বিদ্যুৎ সুবিধা পাবেন। এর পাশাপাশি সেচের জন্য ৫ অশ্ব ক্ষমতার ২টি সৌর পাম্প, স্থানীয় মসজিদ/মাদ্রাসা এবং বিদ্যালয়ও চলে আসছে সৌর বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়। চলতি বছরেই প্রকল্প থেকে সৌর বিদ্যুৎ সুবিধা দেয়া শুরু করা যাবে বলে আশা করেন উদ্যোক্তারা। 

ফ্রেন্ডশিপের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক রুনা খান জানান, যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদী গর্ভে দুর্গম চরের একটি কাবিলপুর। এখানে মূল গ্রীড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা খুবই কঠিন। তাই বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিতে বেছে নেয়া হয়েছে কাবিলপুর চরকে। রুনা খান বলেন, সৌর বিদ্যুৎ সুবিধার ফলে স্থানীয়দের আয়-উন্নতিতে বড় ধরণের পরিবর্তন আসবে, শিশুদের লেখা-পড়ায় তৈরি হবে নতুন সুযোগ। এর পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ কেরোসিনের কুপি ও চুলা’র নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিশ্চিত করবে স্থানীয়দের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা। 

সামিট গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান লতিফ খান বলেন, কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR) -এর অংশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজনকে গুরুত্ব দেয় সামিট। এ কারণে গাইবান্ধার প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে শুরু করতে যাচ্ছে ‘ফ্রেন্ডশিপ-সামিট সোলার ভিলেজ প্রকল্প’। বন্যা, জলোচ্ছাস থেকে রক্ষায় প্রকল্পে সোলার প্যানেলগুলো বসানো হচ্ছে ভূমি থেকে ৫ ফুট উঁচুতে। জমির ইজারা, সোলার প্যানেল স্থাপন এবং অন্যান্য লজিস্টিক কাজে সামিট প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ফ্রেন্ডশিপের উদ্যোগে ২০২১ সালে কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত চর গয়নার পটলে চালু হয় ৫৪ কিলোওয়াট ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎ গ্রাম।

পিটিভি/২০২২

 




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top