ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি


প্রকাশিত:
৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৫:৫৯

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ১৯:২১

গত কয়েকদিনে ব্রহ্মপুত্রে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের পূর্ব খাটিয়ামারি, মধ্য খাটিয়ামারি, দক্ষিণ খাটিয়ামারি, পশ্চিম খাটিয়ামারি, চন্দনস্বর, উজালডাঙ্গা, গুপ্তমনি, কাওয়াবাধা ও মানিককর গ্রামে গত এক সপ্তাহে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ বৃষ্টি ও খাদ্য সমস্যার কারণে চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

গত দশদিন থেকে গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলায় ব্রহ্মপুত্রের পানি অব্যাহতভাবে বাড়ছে। সেইসাথে শুরু হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদীভাঙন। পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ডুবে গেছে। প্রায় ৩০ হাজার লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এই পানি বৃদ্ধির সাথে সাথেই চলছে ভাঙন।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে জেলার ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকাল ৩টা থেকে গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি আজ বৃহস্পতিবার ৩টা পর্যন্ত ১০ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ৮ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৮ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে নদীর তীরবর্তী নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলার ১ হাজার ৫১৫ হেক্টর রোপা আমন ১৪৯৫ হেক্টর ও শাকসবজির ক্ষেত ২০ হেক্টর পানিতে তলিয়ে গেছে।

ফজলুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হানিফ প্রামাণিক জানান, নদীর স্রোত বেড়ে যাওয়ায় ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টি ওয়ার্ডে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ১৫ শতাধিক পরিবার তাদের বসতভিটা হারিয়েছেন। সরকারিভাবে ত্রাণ হিসাবে মাত্র ৩ টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা ক্ষতিগ্রস্তদের তুলনায় অপ্রতুল।


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top