ঢাকা বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১


টাঙ্গাইলের সখীপুরে শতবছরের ভোগদখলীয় জমিতে বনবিভাগের হস্তক্ষেপ


প্রকাশিত:
৪ আগস্ট ২০২১ ০৬:০০

আপডেট:
৪ আগস্ট ২০২১ ০৬:১৫

 
টাঙ্গাইলের সখীপুরে শতবছরের ব্যক্তিমালিকানা ও ভোগদখলীয় আবাদি জমির কলা বাগানে আকাশমণি চারা লাগিয়েছে স্থানীয় বন কর্মকর্তারা। উপজেলার কালমেঘা মৌজার ১৮.৫৬ একরের প্রায় চার একর জমিতে এই চারা লাগিয়েছে। এ ঘটনায় বন বিভাগের নামে মামলা দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।

মামলা ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালমেঘা মৌজার ৯১ নম্বর দাগের ২৯ একর জমি সিএস রেকর্ড জমিদারদের নামে। সেই জমি থেকে ১৬.৪০ একর জমির পত্তনমূলে আব্দুর রাজ্জাক গং মালিক হন। দখলকৃত জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস ও চাষাবাদ করে আসছেন তারা। পরে তাদের নামে এস.এ রেকর্ড হয়। এবং পরবর্তী সময়ে ওই জমি তাদের নামে নতুন রেকর্ড হলে ২০১৩ সাল পর্যন্ত খাজনা দিয়ে আসে আব্দুর রাজ্জাক গং। এছাড়া এস.এ ৪০৫ নম্বর দাগের ২.১৬ একর প্রায় ৯০ বছরের দখলীয় ওই জমিতে কলাবাগান করা হয়েছে।
 
সেই বাগানে গত ১৯শে জুলাই স্থানীয় কালমেঘা বিট কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে প্রায় চার একর জমিতে আকাশমণির চারা লাগান। এ ঘটনায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা টাঙ্গাইল বন বিভাগের নামে গত ১৯শে জুলাই আদালতে মামলা করেছেন আব্দুর রাজ্জাক গং। এছাড়া এই বছরেই ওই জমির উপর দিয়ে একটি গ্যাস লাইন গিয়েছে। জমির প্রকৃত মালিক হিসেবে আব্দুর রাজ্জাক গংদের ওই গ্যাস লাইনের জমি অধিগ্রহণের টাকা বুঝিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সখীপুরে প্রায় ৪০ বছর আগে বনায়ন শুরু হয়েছে। আমরা তখন থেকে চাষাবাদ ও বাড়ি ঘর নির্মাণ করে আসছি। কোনদিন কোন ফরেস্ট আসলো না। সম্প্রতি গ্যাস লাইন থেকে কিছু টাকা পেয়েছি আমরা। সেই টাকা তছরুপ করতে স্থানীয় কয়েকজন দুষ্ট লোকের ইন্ধনে অহেতুক সেই জমিতে স্থানীয় বন কর্মকর্তারা আকস্মিক ভাবে বনায়ন করতে আসে বলে জানান একাধিক ভুক্তভোগী।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমদের শতবছের পৈত্রিক ও দাদার ভোগদখলীয় খাজনা দেয়া জমিতে জোরপূর্বক বনায়ন করছে স্থানীয় বন কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেছি।

উপজেলা ভূমি অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার কামাল লেবু বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমার জানা ছিলো না আজই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবো।

কালমেঘা বিট কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন বলেন, বনের গেজেটভুক্ত তিন বা সাড়ে তিন একর জমিতে বনায়নের চারা লাগিয়েছি। ওনারা যদি আইনের প্রক্রিয়ায় জমি পায় তাহলে বন থাকবে না। তবে ৯১ নম্বর দাগে বনবিভাগের ১১.৮৫ একর জমি আছে।

হাতেয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আলাল খান বলেন, মামলার বিষয়ে কিছুই জানি না। সার্ভেয়ার দিয়ে জমি ডিমার্গেশন করে আমাদের জমিতে বনায়ন করেছি।

বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top