ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


পশুর নদের পানি বৃদ্ধিতে সুন্দরবন ও উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় প্লাবন


প্রকাশিত:
২৮ জুলাই ২০২১ ০৫:৫৯

আপডেট:
২৮ জুলাই ২০২১ ০৬:০১

চলতি পূর্ণিমার ভরা গোনে (ভরা কটালে) স্বাভাবিকের তুলনায় ২৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে সুন্দরবনের নদ-নদী ও মোংলার পশুর নদে। নদীর পানি ছাপিয়ে বনের অভ্যন্তরের প্রবেশ করায় তিন থেকে চার ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে গোটা সুন্দরবন। এছাড়া এক থেকে দেড় ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে করমজলসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র, বনবিভাগের ষ্টেশন ও ক্যাম্পের রাস্তাঘাট এবং নিচু অবকাঠামো। 

এদিকে পশুর নদের পানি বৃদ্ধিতে তলিয়ে গেছে মোংলার কানাইনগর, কাইনমারী, চিলা, সিন্দুরতলা, জয়মনি, বুড়িরডাঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকা। অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে পশুর নদের পাড়ের ওই সকল এলাকার ঘরবাড়ী ও রাস্তাঘাট। আকস্মিক নদীর পানি বেড়ে সুন্দরবন ও উপকূলের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় এখানে এক রমক বন্যা পরিস্থিরি সৃষ্টি হয়েছে।  

সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আজাদ কবির বলেন, বিশেষ করে প্রতি পূর্ণিমার গোনেই স্বাভাবিকের তুলনায় জোয়ারের পানি কিছুটা বেড়ে থাকে। তবে এবার পূর্ণিমার জোয়ারে অনেক বেশি পানি হয়েছে, যা আগে কখনও এতো পানি হয়নি। রবিবারের দুপুরের জোয়ারে করমজলের বনের ভিতরে ৩ থেকে ৪ ফুট পানি বেড়েছে। এক দেড় ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে কেন্দ্রের উচু রাস্তাঘাট ও নিচু স্থাপনাও।  

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য বলেন, পূর্ণিমার ভরা গোনের প্রভাবে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদ-নদী ও মোংলা বন্দরের পশুর নদে স্বাভাবিকের চেয়েও ২৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। মুলত শুক্রবার থেকে নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। শুক্রবার ১৫ সেন্টিমিটার, শনিবার ২১ সেন্টিমিটার ও রবিবার ২৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। চলতি এ গোন শেষের সাথে সাথে নদীর পানিও কমে আসবে বলে জানান তিনি। 


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top