ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


খবর চাপা দিতে নদীর তীর ভরাটে অভিযুক্তরা ইত্তেফাকের সব কপি কিনে নিল!


প্রকাশিত:
১৫ মার্চ ২০২১ ১৯:৫৭

আপডেট:
১৮ মার্চ ২০২১ ২৩:৪৬

 

সকালে পত্রিকার এজেন্ট ও হকারদের ধরে প্রতিটি পত্রিকা পাঁচ গুণ দাম দিয়ে কিনে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ইত্তেফাক পত্রিকার এজেন্ট মেসার্স খবর বিতানের মালিক মোহাম্মদ হাসিম।

কক্সবাজার সদরের বাঁকখালী নদীর তীরবর্তী উত্তর মুহুরীপাড়ার তিন ফসলি প্রায় ৬০ একর উর্বর জমি ভরাট করার বিষয় নিয়ে দৈনিক ইত্তেফাকে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশের খবর ধামাচাপা দিতে সব পত্রিকার কপি অতিরিক্ত দামে কিনে নিয়ে গেছে মাটি ভরাটে অভিযুক্ত চক্রের লোকজন।

মাটি ভরাটের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা দোকানে এসে পত্রিকা না পেয়ে সৌজন্য কপির ফটোকপি করে নিয়ে গেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দুই কিলোমিটার দূরত্বে গড়ে ওঠা রেলস্টেশনকে কেন্দ করে বাঁকখালী নদীর তীরবর্তী উত্তর মুহুরীপাড়ার তিন ফসলি জমিতে বাণিজ্যিক চিন্তায় ‘আবাসন প্রকল্প’ গড়তেই আইন উপেক্ষা করে রাত-দিন জমি ভরাট করছে একটি চক্র। শতাধিক কৃষক পরিবারের একমাত্র অবলম্বন তিন ফসলি জমি ভরাট থেকে রক্ষায় জেলা প্রশাসক, কৃষি বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন দিয়েও কোনো সুরাহা পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্তরা। কিন্তু ‘কৃষি জমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার’ আইনে ফসলি জমি ভরাট করে কোনো স্থাপনা বা আবাসন প্রকল্প বা শিল্প কারখানা গড়ে তোলার কোনো সুযোগ নেই।

এদিকে, দৈনিক ইত্তেফাকের সচিত্র প্রতিবেদন দেখে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নু এমং মারমা। তিনি জানান, রবিবার দুপুরের দিকে ভূমি অফিসের একটি টিম নিয়ে সংশ্লিষ্ট জমির স্থলে গিয়েছিলাম। ভরাট স্থলে আমাদের খাস জমিগুলোর সীমানা চিহ্নিত করেছি। বাকি জমির মালিকানা যারা দাবি করেছেন তাদের সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ অফিসে যোগাযোগ করার জন্য বলে এসেছি।

ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৩৩ জন লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, একটি ক্ষমতাধর চক্র তাদের জমি জোরপূর্বক ভরাট করছেন। কিছু বললে জমি বিক্রি করে দিতে বলছে। ফসলি জমি বিক্রি করব না বলার পর গায়ের জোরে মাটি ভরাট অব্যাহত রাখতে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার চিহ্নিত ও জেলফেরত সন্ত্রাসীদের ‘চুক্তিভিত্তিক’ এনে পাহারা বসিয়েছে। কেউ নিষেধ করতে এলে তাদের সামনে সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র মহড়া দেয়।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ বলেন, কৃষি জমির শ্রেণি পরিবর্তন না করতে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে কঠোরভাবে কাজ করবে কউক। যতবড় প্রভাবশালী হোক, কৃষি জমি ভরাট করে কোনো আবাসন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হবে না।

 


বিষয়: ভূমি দখল



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top