ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


অবৈধ বাঁধে খরস্রোতা পাটেশ্বরী এখন ফসলের মাঠ


প্রকাশিত:
১০ মার্চ ২০২১ ২২:১৫

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ২২:৫৬

কয়েক বছর আগেও সারা বছরই পানিতে টইটম্বুর থাকত পাটেশ্বরী নদীটি। নদীর বুকে পাল তুলে চলাচল করে ছোট-বড় হাজারো নৌকা। ব্যবসায়ীরা স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহন করতে পারতেন। কৃষকরা নদীর দু'পাশের ফসলের জমিতে সেচ দিতেন নদী থেকেই। কিন্তু এককালের খরস্রোতা সেই নদীটি এখন আর পানি প্রবাহিত হয় না। তার বদলে নদীর বুক জুড়ে তৈরি হয়েছে ফসলের মাঠ।

পাটেশ্বরী নদীটি নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউনিয়ন থেকে বলাইশিমুল ইউনিয়নের বসুর বাজার হয়ে নওপাড়া ইউনিয়নের বাজারের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সারা বছরই এই নদীতে বাঁশ দিয়ে বাঁধ দিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা মাছ ধরেন। উপজেলা প্রশাসন, ভূমি অফিস, পুলিশ বার বার নোটিশ দিয়ে বাঁধ না দেওয়ার জন্য বললেও তা কোন কাজেই আসছে না। সম্প্রতি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. খবিরুল আহসান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নদীর বাঁধ অপসারণ করেছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই আবার বাঁধ দেয় প্রভাবশালীরা।

নদীর দুই পাশের কৃষকরা জানান, এই নদীর পানি দিয়ে সারা বছর নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ করা যেত। এছাড়া বোরো ফসলের মাঠে সেচ দেওয়ার জন্য পানির কোন চিন্তাই করতে হতো না। কিন্তু এখন আর নদীর বুকে সেচ দেওয়ার মতো পানি নেই।

তারা জানান, এক সময় এই নদীতে সারা বছরই জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতে পারত। কিন্তু এখন প্রভাবশালীদের বাঁধায় তারা আর নদীতে মাছ ধরতে পারে না। ফলে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা এখন বেকার। নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলাসহ স্থানে স্থানে বাঁধ দেওয়ার ফলে স্রোত কমে পলি পড়ে নদী ভরাট হয়ে গেছে।


কেন্দুয়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ভরাট হয়ে যাওয়ায় এই নদীতে আর মাছ ধরা যাচ্ছে না। নদীটি খনন করা প্রয়োজন।

কেন্দুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. খবিরুল আহসান বলেন, নদীর ভেতরে ব্যক্তিমালিকানা কোন জায়গা নেই। যারা এই জমি দখল করে চাষাবাদ করছেন, তাদের জানা দরকার এই নদী সরকারের। সকল মানুষ এই নদী ব্যবহারের অধিকার রাখেন। নদীটি জরুরিভাবে খনন করা হলে কৃষকসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের অনেক উপকারে আসবে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top