ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশবস্মৃতি বিজড়িত গ্রামের উন্নয়ন চায় গ্রামবাসী


প্রকাশিত:
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০২:১৮

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ০৪:৪৭

বঙ্গবন্ধুর শৈশবস্মৃতি বিজড়িত গ্রামের উন্নয়ন চায় স্থানী‍য়রা

 


জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশবস্মৃতি বিজড়িত গ্রাম চরবাংরাইল। বঙ্গবন্ধু ১৯৩০-৩৫ সালের দিকে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নে এ গ্রামের জমিদার মুনতাজ মুন্সী বাড়িতে এক আত্মীয়ের সাথে বেড়াতে আসতেন। এখানে এসে বঙ্গবন্ধু সব সময় খেলাধুলায় মেতে থাকতেন।কিন্তু বঙ্গবন্ধুর দূরন্ত শৈশব কাটানো। সেই চরবাংরাইল গ্রামে এখনও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।

তারই প্রেক্ষিতে গ্রামের সার্বিক উন্নয়ন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্তম্ভ ও পাঠাগার স্থাপনের দাবি জানিয়ে ইউএনওর বরাবর ইতোমধ্যে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন গ্রামবাসী।

চরবাংরাইল গ্রামের জমিদার নকুল চন্দ্র ভুঁইয়ার ছেলের স্ত্রী শতবর্ষী অন্যপন্যা ভুঁইয়ার কাছে বঙ্গবন্ধুর শৈশব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গোপালগঞ্জের ওয়াহেদ মিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মীয় হন। ওয়াহেদ মিয়ার মামা বাড়ি ছিল চরবাংরাইল গ্রামের জমিদার বাড়িতে। জমিদার মুনতাজ মুন্সী ছিল ওয়াহেদ মিয়ার মামা। সেই সূত্রে মুনতাজ মুন্সীও বঙ্গবন্ধুর আত্মীয় ছিলেন। ওয়াহেদ মিয়া ও তার ছেলে আমিন মিয়া ও নওফেল মিয়ার সাথে ছোট বেলায় বঙ্গবন্ধু এই গ্রামে মাঝে মাঝে বেড়াতে আসতেন। আমার শশুর নকুল ভুঁইয়া, ওয়াজেদ মোল্যা ও মুনতাজ মুন্সীসহ গ্রামের অনেকের সাথে তিনি ফুটবল খেলতেন।

 

এলাকার উন্নয়নের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন ও সোনাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান জানান, মুরব্বীদের মুখে শোনা যায়, জাতির জনক শৈশবে চরবাংরাইল গ্রামের মুন্সী বাড়িতে আসতেন। এ গ্রামের উন্নয়ন ও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনে স্থানীয় সাংসদ, রাজনীতিবিদ এবং প্রশাষনের সদিচ্ছা আশা করছি।

আবেদন নিশ্চিত করে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হাসিব সরকার বলেন, চরবাংরাইল গ্রামে পরিদর্শন করে ও স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তিদের মতামত নিয়ে মুজিববর্ষের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top