ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


বকশীগঞ্জে সাত মাসেও সংস্কার হয়নি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অধিকাংশ রাস্তাঘাট


প্রকাশিত:
১৮ মার্চ ২০২০ ১৭:৫৪

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ২০:২৭

ফাইল ছবি

পরিবেশ টিভি: জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় গত বছরের জুলাই মাসের ভয়াবহ বন্যায় গ্রামীণ রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ সাত মাসেও অধিকাংশ রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ওই বন্যায় বকশীগঞ্জ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে শতভাগ এবং একটি পৌরসভার ৯০ ভাগ এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়। মাসখানেক বন্যার পানি স্থায়ী হওয়ায় গ্রামীণ রাস্তাঘাট ও এলজিইডির গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন, মেরুরচর, বগারচর, নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের গ্রামীণ রাস্তাগুলো বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়।

সাধুরপাড়া ইউনিয়নের গাজীরপাড়া বাজার থেকে কামালের বার্ত্তী বাজার পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা বন্যার কবলে পড়ে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এই রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় স্কুল শিক্ষার্থী, পথচারী, ব্যবসায়ীসহ মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গাজীরপাড়া বাজার থেকে বাংগালপাড়া গ্রামের রাস্তাটি অনেকখানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পূর্ব গাজীরপাড়া গ্রামের খালের ওপরের সেতু বন্যায় ভেঙে পড়ে। বাঁশের সাঁকো দিয়ে কোনো রকমে চলাচল করছেন এই এলাকার মানুষ।

বাংগালপাড়া গ্রাম থেকে কুতুবের চর গ্রাম পর্যন্ত রাস্তাটিতে বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। একই ইউনিয়নের উত্তর ধাতুয়াকান্দা থেকে আলীরপাড়া পর্যন্ত রাস্তাটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে গত বছরের ওই বন্যায়। এই রাস্তার ওপর একটি সেতু থাকলেও দুই পাশের মাটি সরে যাওয়ায় সেতুটি কোনো কাজে আসছে না। আচ্চাকান্দি গ্রাম থেকে ডেরুরবিল বাজার পর্যন্ত রাস্তাটিতে বিশাল একটি খাল হওয়ায় তিন কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয় ওই গ্রামের মানুষের।

শুধু সাধুরপাড়া ইউনিয়নেই নয় মেরুরচর ইউনিয়নেও একই অবস্থা। এই ইউনিয়নের মেরুরচর বাজার হতে পূর্ব কলকিহারা গ্রামের পাকা রাস্তাটি ভেঙে বড় বড় খাল তৈরি হয়েছে। ফলে চরের মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

একই ইউনিয়নের মেরুরচর থেকে ফারাজীপাড়া পর্যন্ত রাস্তাটি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সরকারিভাবে সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে বকশীগঞ্জ ইউএনও আ স ম জামশেদ খোন্দকারের উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তাটি সংস্কার করেছেন এলাকার মানুষ। এ ছাড়াও ঘুঘড়াকান্দি সেতু থেকে উজান কলকিহারা গ্রামের রাস্তাটিও বন্যায় সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। অপরদিকে বগারচর, নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি রাস্তা বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হলেও এখন পর্যন্ত সংস্কার বা পুনঃনির্মাণের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হাসান মাহবুব খান জানান, গত বছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো টিআর, কাবিখা এবং অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পের মাধ্যমে মেরামত করা হচ্ছে। কিন্তু সব রাস্তা এই বরাদ্দ দিয়ে সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য বিশেষ বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রæত কাজ করা যেতে পারে।


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top