ঢাকা শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


এখনই হচ্ছে না পায়রা বন্দরে স্থায়ী এলএনজি টার্মিনাল


প্রকাশিত:
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:৩৯

আপডেট:
২৭ এপ্রিল ২০২৪ ০০:০৩

ফাইল ছবি

পরিবেশ টিভি: পানির গভীরতা কম থাকায় এখনই পায়রা বন্দরে স্থায়ী এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন সম্ভব হচ্ছে না। পদ্মার ওপারে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চল মিলিয়ে ২১টি জেলার জ্বালানি সঙ্কট মোকাবেলায় ২০১৬ সালে গ্যাস সরবরাহের উদ্যোগ নেয় সরকার। এরই অংশ হিসেবে দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি সরবরাহ পরিকল্পনায় পায়রায় একটি স্থায়ী লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল তৈরির উদ্যোগ ছিল সরকারের।

এ বিষয়ে জাপানি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান টোকিও গ্যাস ইঞ্জিনিয়ারিং সলুশনস করপোরেশন (টিজিইএস) ও নিপ্পন কোই কোম্পানি (এনকে) জানায়, পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর এলাকায় ল্যান্ড বেইজড এলএনজি টার্মিনাল তৈরির জন্য চ্যানেলের ন্যূনতম গভীরতা ১২ মিটার না থাকায় বর্তমানে সেখানে টার্মিনাল তৈরি সম্ভব হবে না। তবে পায়রা বন্দর এলাকার রাবনাবাদ চ্যানেল কস্ট শেয়ারিংয়ের ভিত্তিতে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে টার্মিনাল তৈরি করা যেতে পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন সংক্রান্ত এক পর্যালোচনা সভায় জানিয়ে দেওয়া হয়, আপাতত পায়রায় এলএনজি টার্মিনাল তৈরি সম্ভব নয়। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দুটি বন্দর রয়েছে। পায়রা ছাড়া অন্য বন্দরটি হচ্ছে মোংলা। মোংলায় সর্বোচ্চ ৭-৮ মিটার গভীরতায় জাহাজ আসতে পারে। ফলে সেখানেও এলএনজি টার্মিনাল তৈরি সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ল্যান্ড বেইজ এলএনজি টার্মিনাল তৈরি আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বানের মাধ্যমে শেষ করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছিলেন। নির্দেশনা অনুযায়ী কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ও পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর এলাকায় এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট বা আগ্রহপত্র আহ্বান করা হয়। দশটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব জমা দেয়। দরপ্রস্তাব মূল্যায়ন করে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে চ‚ড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়। এরপর তাদের রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল বা অনুরোধপত্র তৈরি করতে বলা হয়। অন্যদিকে, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাপানের কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা হয়। কোম্পানির প্রতিবেদনে এ বিষয়টি উঠে এসেছে। এখন উচ্চপর্যায় সিদ্ধান্ত নেবে, তারা কী করবে।

জানা যায়, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ গত বছর বেলজিয়ামের একটি কোম্পানির সঙ্গে বন্দরের রামনাবাদ চ্যানেলের খনন কাজের চুক্তি করে। ওই চুক্তিতে বন্দরে ১২ মিটার গভীরতা সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। এখন বন্দর চ্যানেলে সাড়ে চার মিটার থেকে আট মিটার গভীরতা রয়েছে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top