ঢাকা শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


কাপাসিয়ায় নদীতে অবৈধ মাছের ঘের


প্রকাশিত:
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:৪১

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:১৫

ফাইল ছবি

পরিবেশ টিভি: গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় নদীতে অবৈধভাবে ঘের দিয়ে মাছ নিধন চলছে। বানার নদীসহ শীতলক্ষ্যা ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে বাঁশ পুঁতে ও গাছের ডালপালা ফেলে মাছ শিকারের ঘের তৈরি করেছে প্রভাবশালী মহল।

সরেজমিন উপজেলা সদর, নাজাই, ঘিঘাট, দরদরিয়া এলাকার শীতলক্ষ্যা নদ, টোকের বানার নদী ও পুরাতন বহ্মপুত্র নদসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, নদীতে নির্দিষ্ট একটি স্থান দখল করে চারপাশে বাঁশ পুঁতে রাখা। ভেতরে কচুরিপানা ও গাছের ডালপালা ফেলে ঘের দেওয়া হয়েছে। ঘেরের ভেতরে প্রচুর পরিমাণে মাছের খাবার ফেলা হয়। খাবারের খোঁজে মাছ ভেতরে চলে আসলে চারদিকে জাল দিয়ে ঘের আটকানো হয়। তারপর আটকা পরা মাছসহ পোনা শিকার করা হয়। উপজেলার নদীর তীরবর্তী দশটি ইউনিয়নে তিনটি নদীতে প্রায় অর্ধশতাধিক ঘের রয়েছে। নদীতে ঘের দেওয়ার কারণে নৌযান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। অন্যদিকে স্থানীয় প্রকৃত জেলেরা নদী থেকে উন্মুক্তভাবে মাছ শিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, ঘের তৈরিতে ছোট ছিদ্রযুক্ত জাল ব্যবহার করায় মা ও পোনা মাছসহ সব ধরনের মাছ আটকা পড়ছে। এতে জীববৈচিত্র্য ও মৎস্যসম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। অবৈধভাবে মাছ শিকার রোধে উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের সচেতনতামূলক কোনো কার্যক্রম নেই।

নদীতীরবর্তী স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কিছু প্রভাবশালী মহল নদীতে ঘের দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। সময়ের ব্যবধানে নদীর নাব্য হারিয়ে ক্রমশ মরা খালে পরিণত হচ্ছে। নদী দখল, পলি জমে ভরাট হওয়া, অবৈধভাবে ঘের দিয়ে মাছ শিকার করা এর অন্যতম কারণ।

উপজেলার টোক এলাকার একজন মৎস্যজীবী বলেন, নদীতে এখন আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। নদীতে ঠিকমতো নামতেও পারেন না তারা। যেখানে সেখানে ঝোপ বা ঘের  তৈরি করার ফলে নৌকা চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়াও ঘেরের আশপাশে মাছ ধরতেও তাদের বাধা দেওয়া হয়।

কাপাসিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আমার এ বিষয়ে জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে দেখব। নদী থেকে ঘের বা ঝোপ দিয়ে মাছ শিকার সম্পূর্ণ নিষেধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে মাছের বংশবিস্তার হবে না


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top