ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


রানীশংকৈলে কবরস্থানের মাটি ও শাল গাছ কেটে উজাড়


প্রকাশিত:
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১০:২৮

আপডেট:
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:১৩

ফাইল ছবি

পরিবেশ টিভি: ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে রেকর্ডীয় কবরস্থানের মাটি ও শাল গাছ কেটে উজাড় করা হলেও নজর নেই প্রশাসনের। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের ভেলাই নামক গ্রামে ভেলাই মৌজার জেএল নং-৪১-এর ৪ খতিয়ানের ২৯১নং দাগের প্রায় দুই একর রেকর্ডীয় এমজেডএফ ব্রিকস (ইটভাঁটা) ঘেঁষা শত বছরের আগের কবরস্থানের জমি জুড়ে রয়েছে বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় সম্পদ শাল গাছ। শাল গাছের ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে স্থানীয় অনেক মানুষের কবর। কবরস্থানের প্রায় এক বিঘা জমিতে প্রায় পাঁচ ফুট গর্ত সমান মাটি কেটে খাল করে রাখা হয়েছে। এ মাটি স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি কেটে কবরস্থানঘেঁষা এমজেডএফ ইটভাঁটায় বিক্রি করে দিয়েছে বলে জানা যায়। অন্যদিকে বিশাল এ শাল বাগানের প্রায় ত্রিশটি কেটে নেওয়া গাছের গোড়া পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখা যায়।

স্থানীয়রা জানায়, এ শাল গাছগুলো কেটে ইটভাঁটায় নেওয়া হয়েছে। শত বছরের কবরস্থানের মাটি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ শাল গাছ অবৈধভাবে কাটার প্রতিবাদ জানায় ওই গ্রামের মৃত দলিলুর রহমানের ছেলে মজিবর রহমান। এ কারণে মজিবরকে পড়তে হয় প্রভাবশালীদের রোষানলে। তাই বাধ্য হয়ে মজিবর এর সুষ্ঠু বিচার চেয়ে এবং কবরস্থানের মাটি ও শাল গাছ রক্ষায় গ্রামবাসীর পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি কবরস্থানের মাটি ও শাল গাছ কেটে বিক্রিকারী হিসেবে ভেলাই গ্রামের প্রভাবশালী মৃত এবাদুল হকের ছেলে আনিসুর রহমান, আব্দুল সামাদের ছেলে সইদুল হক, সহিম উদ্দীনের দুই ছেলে ইউসুফ আলী ও ইয়াকুব আলী, দেলোবর হোসেনের ছেলে মকলেসুর রহমানের নাম দেন।

মজিবর রহমান জানান, অভিযোগ দেওয়ার প্রায় সপ্তাহখানেক পার হয়ে গেলেও উপজেলা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এতে প্রভাবশালীরা অত্যাচার আরও বাড়িয়ে দিয়েছে আমার পরিবারের ওপর। রাষ্ট্রীয় এ সম্পদ রক্ষার স্বার্থে জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন মজিবর।

তবে এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে ইটভাঁটা ব্যবসায়ী মকবুলের মোবাইল ফোনে কল দিলেও সে তাতে সাড়া দেয়নি। অভিযুক্তের একজন আনিসুর রহমান বলে, আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি এটা। তবে কবরস্থানের মাটি ভাঁটা ব্যবসায়ী কেটে নিয়েছে। আর শাল গাছ কাটার বিষয়টি সে অস্বীকার করে।

উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা শাহজাহান আলী সময়ের আলোকে বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু করার নেই। গাছ আটকে খবর দিলে তা আমি উদ্ধার করতে পারি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী আফরিদা বলেন, বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখি।


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top