ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


গোমস্তাপুরে রেলের জমি দখল করে পকেট ভারী করছে প্রভাবশালীরা


প্রকাশিত:
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২০:৩০

আপডেট:
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:০৪

ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশ টিভি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলওয়ে স্টেশনের আশপাশের রেলের জায়গা দিন দিন বেদখল হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিপুল পরিমাণ জমি দখল করে পকেট ভারী করছে প্রভাবশালীরা।

স্থানীয় সূত্র বলছে, রেল লাইনের কোল ঘেঁষে কাঁচা-পাকা স্থাপনা এবং অবৈধ দোকান বসিয়ে প্রভাবশালীরা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ট্রেন। বিভিন্ন সময়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হলেও কার্যত কোনো সফলতা আসেনি। রাজনৈতিক নেতা ও স্থানীয় প্রভাবশালী অসাধু সিন্ডিকেট মাসোয়ারা নিয়ে স্থায়ীভাবে এ দখল টিকিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রেলের জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জমি উদ্ধারের কোনো উদ্যোগ না থাকায় নতুন আরও জায়গা বেদখল হচ্ছে। কেউ কেউ নামমাত্র মূল্যে লিজ নিয়ে অতিরিক্ত জায়গা দখল করেছে। এ ছাড়াও রহনপুর পৌরসভা রেলওয়ের জায়গায় আমবাজার ও দৈনিক বাজার বসিয়ে থাকে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু দখল করেই ক্ষান্ত নয়, রেলওয়ের জায়গায় বস্তি তৈরি করে মিনি পতিতালয় গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে চলছে মাদকের কারবার। এ ছাড়া রেলওয়ের অনেক জলাশয় ভরাট করে বাড়িঘর নির্মাণসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। একইভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রহনপুর রেললাইনের দুই পাশের অনেক জায়গা দখল হয়ে গেছে। কোথাও মার্কেট আবার কোথাও বাড়িঘর ও বস্তি বানিয়ে এসব জায়গা দখল করা হয়েছে।

রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেললাইনের দুই পাশে ১০ ফুট জায়গা খালি রাখার নিয়ম রয়েছে। যেকোনো দুর্ঘটনা এড়ানো ও বাড়তি সতর্কতার জন্য এমন বিধান। অথচ এখানকার কোথাও এমন খালি রাখার চিত্র তেমন চোখে পড়ে না। উপজেলার বেশিরভাগ জায়গা ঘুরে রেল লাইনের দুই ধারে বস্তি, দোকানপাট এবং আধা-পাকা স্থাপনা বানিয়ে দখলের চিত্র দেখা গেছে। রহনপুরকে পূর্ণাঙ্গ রেলবন্দরে পরিণত করার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকলেও অবৈধ দখলদারিত্বের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তারা।

গোমস্তাপুরের স্থানীয় সংবাদকর্মী মনিরুল ইসলাম দোয়েল জানান, প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া অবৈধ দেহব্যবসা চালানো সম্ভব নয়। তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে ধ্বংস হচ্ছে স্থানীয় যুবসমাজ। ঘটছে চুরি ছিনতাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রহনপুর পৌরমেয়র তারিক আহমদ বলেন, রেলের জমি উদ্ধারে সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। এ ছাড়া জমি দখল করে পতিতা ব্যবসা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। পশ্চিম রেলওয়ের ভূসম্পদ কর্মকর্তা নুরুজ্জামান জানান, রহনপুর রেল স্টেশন এলাকায় রেলওয়ের প্রায় ৬০০ বিঘা জমি রয়েছে। যার অধিকাংশই বেদখলে। ওই এলাকায় শিগগিরই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top