ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


কুমিল্লায় গোমতীর চরে আলু ক্ষেতে সবুজের হাতছানি


প্রকাশিত:
২১ জানুয়ারী ২০২০ ০৫:০৫

আপডেট:
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:০২

ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশ টিভি: কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় গোমতী নদীর বিভিন্ন চরের আলুক্ষেতে এখন সবুজের হাতছানি। জেলার প্রধান এই নদীর চর এলাকায় এ বছর গোল আলুর ব্যাপক আবাদ হয়েছে। আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় মহানন্দে ক্ষেত পরির্চযায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আগামী কিছু দিনের মধ্যেই কৃষক তাদের উৎপাদিত আলু ঘরে তুলবেন।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, সবজি চাষে জেলার অন্যতম এলাকা গোমতী নদীর চর। বিভিন্ন মৌসুমে এই চরে আবাদ করা হয় নানা জাতে সবজি। চলতি মৌসুমে গোমতীর চরের বুড়িচং উপজেলা অংশে অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ব্যাপকভাবে গোল আলুর আবাদ করেছেন চাষিরা। উপজেলার নদী তীরবর্তী ময়নামতী, ষোলনল, ভারেল্লা উত্তর, ভারেল্লা দক্ষিণ, পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা আলু আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর চারা দ্রুত মাথাচড়া দিয়েছে। এখন চর জুড়ে শুধুই সবুজ; বাতাসে দুলছে আলু গাছ। ফলনও ভালো হবে বলে আশাবাদ কৃষকদের।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, চলতি শীত মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুতে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এবদারপুরের কৃষক ইসমাইল হোসেন, আব্দুল আজিজ, গোবিন্দপুর গ্রামের মোবারক হোসেন জানান, গত বছর আলু উত্তোলন মৌসুমে বাজারে দাম কম হওয়ায় আলু চাষে তাদের আর্থিকভাবে লোকসান গুনতে হয়েছে। এ বছর আলুর ভালো দাম পাওয়া গেলে লাভবান হওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে। শ্রীপুর গ্রামের কৃষক রুহুল আমীন জানিয়েছেন, আলু গাছে ওষুধ প্রয়োগ, সেচ, সার, মজুরিসহ এক বিঘা জমিতে আলু চাষে প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ক্ষেতের অবস্থা দেখে তিনি খুশী, লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন।

বুড়িচং উপজেলা কৃষিবিদ কৃষি কর্মকর্তা মো. শামিম হোসেন বলেন, এ বছর আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ শত ৫০ হেক্টর জমি। লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হয়েছে। এবার যেহেতু আবহাওয়া অনুকূলে, রোগবালাইও নেই তাই ফলন খুবই ভালো হবে। তিনি বলেন, এরই মাঝে উপজেলার গোমতী নদীর চর এলাকার কিছু কিছু স্থানে আলু তোলা শুরু হয়েছে যেখানে আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন কৃষকরা।


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top