ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


সিরাজগঞ্জে কোটি টাকার সরকারি গাছ কেটে নিয়েছে স্থানীয়রা


প্রকাশিত:
৩ জানুয়ারী ২০২০ ০০:৫১

আপডেট:
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:৪৬

ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশ টিভি: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে মরা করতোয়া নদীর দুপাশের কোটি কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১৫ হাজার গাছ কেটে নিয়েছে স্থানীয়রা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদাসিনতার সুযোগে সম্প্রতি এসব গাছ কাটা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ৬ কোটি ৫২ লাখ ৪৩ হাজার ৮৭৩ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে উপজেলার চান্দাইকোনার মুড়াগাছা হয়ে দেউভোগের মধ্য দিয়ে ধুবিল ইউনিয়নের মেহমানশাহী পর্যন্ত ১৭.৪৫০ কিলোমিটার মরা করতোয়া নদী পুনর্খননের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর খনন কাজের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আজিজ।

সরেজমিন দেখা যায়, ১৭.৪৫০ কিলোমিটার মরা করতোয়া নদীর দুতীরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূমি থেকে গাছ কাটা হয়েছে। নদীর দুতীরে থাকা মেহগনি, আম, জাম, ইউক্লিপট্যাস, অর্জুনসহ ১৫ প্রজাতির প্রায় ১৫ হাজার গাছ কোনো অনুমতি বা টেন্ডার ছাড়া কেটেছেন স্থানীয়রা। কেউ গাছগুলো বিভিন্ন স-মিলে বিক্রি করছে, কেউ শ্রমিক লাগিয়ে গাছ কেটে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে।

কোথাও দেখা যাচ্ছে কাটা গাছের মৌতা আর মৌতা। বিশাল আকৃতির গাছ কাটায় উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেউ বাধা দিচ্ছে না। ২৫ ডিসেম্বরে ঘুড়কা ইউনিয়নের হাট ইচলা মরা করতোয়া নদীর পূর্ব পাড়ের তেবাখাল গিয়ে দেখা যায়, অনেক শ্রমিক প্রায় শতাধিক গাছ কাটছেন।

কাটা গাছগুলো বিক্রি করে নসিমন বোঝাই করে অন্যত্র পাঠিয়ে দিচ্ছেন ইয়াসিন নামক ব্যক্তি। গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, গাছগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায়। নদী পুনর্খনন প্রকল্পের খনন কাজ শুরু হওয়ায় গাছগুলো তড়িঘড়ি করে কেটে নিচ্ছি। যদি এখন গাছগুলো কর্তন করে না নিয়ে যায় তবে, গাছগুলো সরকার নিয়ে যাবে। ওই এলাকার হৃদয় নাথ সরকার, নিরন্দ নাথ রায় ও আব্দুল আলিম বলেন, এ চিত্র শুধু তেবাখাল নয় মুড়াগাছা হয়ে দেউভোগের মধ্যে দিয়ে মেহমানসাহী এলাকা (১৭.৪৫০ কিলোমিটার) পর্যন্ত। সবেমাত্র খনন কাজ শুরু হয়েছে বলে গাছগুলো কেটে নিচ্ছে।

এ ব্যাপারে রায়গঞ্জ উপজেলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম আলতাফ হোসেন বলেন, করতোয়া নদীর জায়গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের। এ জায়গা রোপণকৃত গাছ কাটতে হলে অবশ্যই নিয়মনীতি মেনে কাটতে হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গাছগুলো অতীতে নদীর দুতীরে স্থানীয়রা রোপণ করেছে, নদী পুনর্খননের পর পানি উন্নয়ন বোর্ড গাছগুলো রোপণকৃত গাছগুলো বিশাল আকৃতির হবে তখন সেই গাছগুলো টেন্ডার দিয়ে বিক্রি করব।


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top