ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৪, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১


ওয়াসার পানি দূষিত হওয়ায় পানি কিনে খাচ্ছে রাজধানীবাসী


প্রকাশিত:
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:১৮

আপডেট:
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:২৮

দূষিত পানি পান এবং ব্যবহারে স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের মাদবরবাজার, নামাশ্যামপুর, বটতলা, বড়ইতলা, খানকা রোড ও শাহি মসজিদ এলাকার বাসিন্দারা। তলব করে জানা যায়, উল্লেখিত এলাকার পানি ভীষণ দুর্গন্ধযুক্ত, আর্সেনিক ও ময়লাযুক্ত হওয়ায় প্রায়ই অসুস্থ হচ্ছেন এলাকাবাসীরা।

মডস জোন ৭-এর আওতাধীন সালাউদ্দিন স্কুল ও শাহি মসজিদ নামক ওয়াসার পানির পাম্প থেকে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার অনুপযোগী পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। একাধিকবার ওয়াসার কর্তৃপক্ষ বরাবর পানির বেহাল অবস্থার কথা জানিয়েও কোনো সুরাহা পাননি ভুক্তভোগী বাসিন্দারা। যার ফলে বাধ্য হয়ে এসব দুর্গন্ধ পানি পান, গোসল, ওজু, বাসাবাড়ির রান্না, কাপড় ধৌতসহ সব কাজ চলছে এই ব্যবহার অনুপযোগী পানি দিয়ে।

এতে করে ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, আমাশয়, চর্মরোগ, জন্ডিসসহ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বাসিন্দারা। বিশেষ করে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে অনেকে উপায়ান্তর না পেয়ে পানি কিনে খাচ্ছেন। কেনা পানি বলে কম করে খেতে হচ্ছে। এতে অনেকে ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ অবস্থায় দিশাহারা হওয়া ছাড়া কোনো উপায় দেখতে পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী বাসিন্দারা।

নামাশ্যামপুর এলাকার বাসিন্দা ডা. জহিরুল ইসলাম বলেন, পানির অপর নাম জীবন। সেই পানিই যেন আমাদের মরণফাঁদ। বাসাবাড়ির পানির কল ছাড়লে ট্যাপ দিয়ে বের হয় দুর্গন্ধ কালো ও হলদে রঙের পানি। এই পানি খাওয়া তো দূরের কথা মুখে নেওয়া, মুখ ধোয়া, গোসল করা ওজু করা কষ্টকর। তার পরও বাধ্য হয়ে সবই করতে হচ্ছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৮, ৫৯ ও ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহিদা বেগম বলেন, আমার বাসা মাদবরবাজার এলাকায়। ওয়াসার পানিতে প্রচুর দুর্গন্ধ ও লাল এবং কালচে। এই সমস্যা প্রায় ২-৩ বছর ধরে। আমি একজন কাউন্সিলর হিসেবে এলাকার লোকজন আমার কাছে পানির সমস্যার বিষয়ে অভিযোগ জানাতে আসেন। আমি মডস জোন ৭-এর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। এতে করে বাসিন্দাদের কাছে লজ্জায় পড়ি। কী আর করা বাধ্য হয়ে ব্যবহার অনুপযোগী পানিই আমরা ব্যবহার করছি। এতে করে পানিবাহিত নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াসার মডস জোন ৭-এর উপসহকারী প্রকৌশলী মনোজ দাখলার বলেন, পানির উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে আয়রনের মাত্রাটা একটু বেড়ে গেছে। উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছি। বাড়াতে পারলে হয়তো আপাতত আয়রনটা কমে যাবে। এ ছাড়া এর আরেকটি স্থায়ী সমাধান হলো, সেখানে নতুন আরেকটি পানির লাইন হবে। ওই লাইনটির কাজ হলে পানিতে আয়রনসহ কোনো সমস্যা থাকবে না।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top