ঢাকা শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


নেত্রকোনায় ফসলরক্ষা বাঁধের অগ্রগতি নিয়ে মনিটরিং সভা


প্রকাশিত:
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৪৩

আপডেট:
৩ মে ২০২৪ ০২:৪৫

নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে জেলার বিভিন্ন হাওরের ফসলরক্ষা ডুবন্ত বাঁধের ভাঙন মেরামত বিষয়ে জেলা কাবিটা স্কিম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঘণ্টাব্যাপী এই সভায় সভাপত্বি করেন জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ।

এসময় সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোর পিআইসি কমিটির সভাপতি স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলীদের কাছে কাজের অগ্রগতি শুনে অসন্তোষ প্রকাশ করেন সভার প্রধান। তবে সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকলে উপস্থিত থাকলেও সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে জেলার হাওরাঞ্চলের ১৫৬ কিলোমিটার বিভিন্ন অংশের ডুবন্ত বাঁধের ভাঙন বন্ধকরণ ও মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। মোট ১৮০ টি প্রকল্প কমিটি গঠনের (পিআইসি) মাধ্যমে ৩০৯ টি ছোটবড় হাওরের কয়েকটিতে ফসল রক্ষার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ পর্য়ন্ত (অর্থাৎ ১২ ফেব্রুয়ারি) কোথাও কোথাও ৫০ ভাগ আবার কোথাও ৩০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মনিটরিং কমিটির জেলা পর্যায়ের সভায় অনেক স্থানে কাজের ধীরগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কমিটির সভা প্রধানসহ সদস্যরা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান জানান, হাওরাঞ্চলের ৪২ হাজার ১৪০ হেক্টর জমির ফসল রক্ষায় এবার ৩১ কোটি ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। তারমধ্যে গত বছরের বকেয়া ১৬ কোটি ৯৫ লাখ। নতুন বরাদ্দ ১৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

জেলার মোট ১০ উপজেলার মধ্যে ৭টি উপজেলার বিভিন্ন হাওরের ১৮০ টি পিআইসির মধ্যে খালিয়াজুরী উপজেলাতেই ১১০ টি পিআইসি। তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় সার্ভে করে এবার অযাচিত পিআইসি কমানো হয়েছে। এতে করে সরকারেরও বেশ কয়েক কোটি টাকা কম লাগছে। তিনি বলেন, বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত পর্যন্ত সকলের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে বিভিন্ন স্থানে কাজের ধীরগতির তথ্য শুনে জেলা প্রশাসক শাহেদ পারেভজ নির্দিষ্ট সময় ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দিনে রাতে কাজ করে সকল বাঁধ সম্পন্নের নির্দেশনা দেন। তিনি ইউএনওদের প্রতি প্রয়োজেনে পিআইসির সভাপতিদের ডেকে নিয়ে বাঁধের কাজের জিরো টলারেন্স দেখাতে নির্দেশ দেন।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top