ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০

জনপ্রিয় হচ্ছে রাঙ্গামাটির ঘাগড়া ঝরনা


প্রকাশিত:
১০ অক্টোবর ২০১৯ ১০:০৪

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ০১:০৯

ফাইল ছবি

পরিবেশ টিভি: পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির বুকজুড়ে কাপ্তাই হ্রদ। বৃহৎ এ হ্রদের দেশে রয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় ঝরনা। সবার কাছে পরিচিত একটি ঝরনার নাম ‘সুবলং ঝরনা’। কিন্তু শহরের কাছেই আরও একটি ঝরনা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সে ঝরনার রূপ দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

রাঙ্গামাটির চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়কের কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নে ঝরনাটি অবস্থিত। এলাকাটি কলাবাগান নামেও পরিচিত। তাই স্থানীয়ভাবে এটি ‘কলাবাগান ঝরনা বা ঘাগড়া ঝরনা’ হিসেবে পরিচিত। এখানে পাহাড়ি ছড়ার মধ্য দিয়ে প্রায় দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার হেঁটে যেতে হয় মূল ঝরনায়। তবে যাওয়ার পথে দেখা মেলে আরও ৫-৬টি ছোট-বড় ঝরনার।

রাঙ্গামাটি শহর থেকে সিএনজি ভাড়া করে যাওয়া যায় ঝরনাটিতে। ভাড়া নিতে পারে ২০০-২৫০ টাকা। মূল সড়ক থেকে হাতের বামে প্রবাহমান একটি ছোট্ট পাহাড়ি ছড়া রয়েছে। ছড়াটির উপর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য নুড়ি পাথরের উপর দিয়ে হেঁটে দুই পাশের অসংখ্য পাহাড় আর সবুজে ঢাকা গাছ-পালার সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে এগিয়ে যেতে হয় মূল ঝরনার দিকে।

চলার পথে অসংখ্য ছোট ছোট ঝরনা পর্যটকদের নজর কাড়তে শুরু করবে। মাত্র পনেরো থেকে বিশ মিনিট হেঁটে গেলেই দৃষ্টিনন্দন বড় ঝরনাটি স্বাগত জানাবে। এরপর হালকা পিচ্ছিল অথচ মসৃণ পথ বেয়ে উপরের দিকে উঠতে হয়। এ পথে পাড়ি জমাতে গিয়ে দুরন্ত কৈশোরের দুষ্টুমির কথাও মাথায় ভর করতে পারে। আবার স্বচ্ছ পানি দেখে জলরঙ্গ খেলার লোভও জাগতে পারে।

প্রথম ঝরনা থেকে কিছুটা উঁচুতে উঠলে অপর ঝরনাটি পর্যটকদের ক্লান্তি দূর করে বিমোহিত করবে। এভাবে একেকটা ঝরনাধারা পেরিয়ে একের পর এক যত উঁচুতে উঠবেন; ততই আপনি মুগ্ধ হতে থাকবেন। মূল ঝরনায় যাওয়ার পথ ও পথের ধারে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা নুড়ি পাথার ও সবুজে ঢাকা অরণ্য মুগ্ধ করবে। আপনাকে আনন্দের অন্য এক রাজ্যে নিয়ে যাবে মুহূর্তেই।

এ পথের সর্বশেষ অংশে দেখা মিলবে আকাশচুম্বী সবচেয়ে বড় ঝরনাটির। ঝরনাটি এতই উঁচু যে, তার কাছে ঘেঁষতে ভয় পেয়ে যাবে যে কেউ। তবে জলপ্রপাতের একেবারে কাছে এসে তার সৌন্দর্য-সুধা পান করবে না, তা কি হয়? মনোরম এ প্রাকৃতিক ঝরনাগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- সমতল থেকে স্তরে স্তরে অন্তত দেড় থেকে দু’শ ফুট উঁচু থেকে জল গড়িয়ে পড়ে। প্রতিটি ঝরনারই রয়েছে স্বতন্ত্র কিছু বৈশিষ্ট্য, যা না দেখলে কারো বিশ্বাস হবে না।

প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অসংখ্য পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে ঝরনাপাড়া। চট্টগ্রামের হাটহাজারি থেকে আসা নাহিদ সরোয়ার বলেন, ‘রাঙ্গামাটির অসংখ্য ঝরনার কথা শুনেছি। আগেও বেশ কয়েকবার সুবলং ঝরনাও দেখেছি। আর এ ঝরনায় আমার দ্বিতীয়বার আসা। এখানে একবার এলে সুযোগ পেলেই আবার আসতে ইচ্ছে হয়।’

 




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top