ঢাকা শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১

লাল শাপলা বিলের শীতকালীন সৌন্দর্য


প্রকাশিত:
৩০ জানুয়ারী ২০২৪ ১৯:২৫

আপডেট:
৩ মে ২০২৪ ১৮:১৩

হাওরের পানিতে ফুটেছে লাল শাপলা দেখে মনে হচ্ছে লালগালিচা বিছানো। এর মধ্য থেকে আসছে কয়েক জাতের পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ। চারপাশে তাদের কলরব যেন বিলের সৌন্দর্যকে আরো উপভোগ্য করে তোলে। প্রতিদিন এমনই নৈসর্গীক দৃশ্য দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন হাজারো পর্যটকেরা।

এই সুন্দর দৃশ্যটি উপভোগ করতে পারবেন সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় গেলে। লাল শাপলা বিল হিসেবে খ্যাত ডিবির হাওরের চিত্র এটি। সম্প্রতি হাওরটি ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। প্রতিদিন এমন সৌন্দর্য দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন হাজারো মানুষ। নৌকা নিয়ে ডিবির হাওর ঘুরে লাল শাপলা ও অতিথি পাখি দেখছেন পর্যটকেরা। লাল শাপলার বিলটিতে অসংখ্য অতিথি পাখিগুলোর মধ্যে আছে বালিহাঁস, শামুকখোল, মেটে–মাথা তিতি, সাদা বক, কানি বক, মাছরাঙা, নীলকণ্ঠী, জলময়ূর ও সরালি হাঁস।

স্থানীয় বেশ কয়েকজন জায়গাটি সম্পর্কে  তাদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন। কয়েকজনের মতে, গত কয়েক বছরের থেকে এবার অতিথি পাখির উপস্থিতি বেশি। সম্প্রতি বিলের বাঁধ উঁচু করা, হাওরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকা, সামাজিক বনায়নের গাছ লাগানো ও উপজেলার অন্যান্য বিলের পানি সেচ দিয়ে মাছ শিকারের ফলে অতিথি পাখিগুলো ডিবির হাওরে আশ্রয় নিচ্ছে।

ডিবির হাওরে বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা ফয়সল আহমেদ। তিনি বলেন, ডিবির হাওরে প্রথম এসে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন। লাল শাপলার বিলে পাখিগুলো দেখে বেশি ভালো লেগেছে। পাখিগুলো যাতে কেউ শিকার না করেন কিংবা বিরক্ত না করেন, সেদিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।

ডিবির হাওরের নৌকার মাঝি দুলাল হোসেন বলেন, লাল শাপলার বিল হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার আগে কিছু লোক এখানে পাখি শিকার করতেন। তবে পরবর্তী সময়ে পরিবেশকর্মীরা স্থানীয় লোকজনের কাছে বিষয়টি বেআইনি বলে প্রচার চালানোয় মানুষ সচেতন হয়েছেন। এখন আর পাখিশিকারিদের তৎপরতা নেই। বিলটি নিরাপদ হওয়ায় এবার পাখি বেশি এসেছে বলে মত তাঁর।

জৈন্তাপুর ফটোগ্রাফি সোসাইটির সভাপতি মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, জৈন্তাপুরের ডিবির হাওরের চারটি বিল ২০১৪ সালে পর্যটকদের কাছে লাল শাপলার বিল হিসেবে পরিচিতি পায়। বর্তমানে বিলে ছায়া সৃষ্টির জন্য কাজ চলছে। পাখিদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। সামনের দিনগুলোয় অতিথি পাখির উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন, জৈন্তাপুরের লাল শাপলা বিলের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। পর্যটকদের জন্য ঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে, নতুন আরও একটি পার্কিংয়ের স্থান নির্মাণ হবে, পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য এক কিলোমিটার রাস্তা পাকা করার কাজ এ মাসেই শুরু হবে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top