ঢাকা সোমবার, ৩১শে মার্চ ২০২৫, ১৮ই চৈত্র ১৪৩১

ঐতিহ্যবাহী বিল ও নদীগুলোর দখল রোধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: রিজওয়ানা


প্রকাশিত:
১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০৩

আপডেট:
৩১ মার্চ ২০২৫ ১০:৫৩

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জাতীয় ঐতিহ্যবাহী বিল ও নদীগুলোর অবৈধ দখল রোধে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর অংশ হিসেবে আড়িয়াল, চলন, বেলাই ও বসিলা বিলের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টাসহ আগামী সপ্তাহে আড়িয়াল বিল পরিদর্শন করা হবে। হাওর ও বিল সংরক্ষণে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ফসলের ক্ষতি কমাতে হাওর এলাকায় যথাসময়ে বাঁধ মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দফতর ও সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে পানিসম্পদ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

পানিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, মানুষের পানির অধিকার নিশ্চিত করতে নদীদূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। বড়াল, পিয়াইন, ডাউকি, সোমেশ্বরী, বালু, বুড়িগঙ্গা, মগড়া, করতোয়াসহ সংকটাপন্ন নদীর তালিকা প্রস্তুত করে সেখান থেকে ক্ষতিকর স্থাপনা সরিয়ে দিতে হবে।

নদীর বালু ও পাথর উত্তোলনকে নিয়ন্ত্রিত বা নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় সুপারিশমালা তৈরি করতে হবে। নদীভাঙন রোধে প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে এবং ভাঙনকবলিত লোকদের খাসজমিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আন্তর্জাতিক নদীগুলোয় দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করা হবে বলে জানান তিনি।

পানিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, মানুষের সঙ্গে আলোচনা করে কম ব্যয়ের অত্যাবশ্যক প্রকল্প গ্রহণপূর্বক বাস্তবায়ন করতে হবে। কোনও উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে নদী যেন মারা না যায়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। ১৯৯৯ সালের জাতীয় পানি নীতিমালা বাতিল করে যুগোপযোগী পানি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে, যেখানে জনমতের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।

নদীকে জীবন্ত সত্তা বিবেচনা করে নদী রক্ষা কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে নদীর প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ করতে হবে। সেখানে নদীর আঞ্চলিক ও স্থানীয় নামেরও স্বীকৃতি দিতে হবে, যাতে কোনও নদী শাখা নদী বা উপনদী বিবেচনায় হারিয়ে না যায়।

সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, কোনও কর্মকর্তা কর্তব্য পালনকালে কোনও প্রকার দুর্নীতি, অনিয়ম ও অবহেলা করলে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সুশাসন ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠায় মানুষের তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কাজে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে হবে।

পানিসম্পদ সচিব নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এবং অধীন দফতরগুলোর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সমস্যা, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জগুলো শোনেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top