ঢাকা শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


পদ্মার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে শত শত ফসলি জমি


প্রকাশিত:
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২৩:১৭

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৩০

পদ্মায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলী জমি

পরিবেশ টিভি: পদ্মায় পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের ফলে রাজবাড়ী জেলার নদী তীরবর্তী এলাকার সদর, গোয়ালন্দ ও কালুখালী উপজেলার বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে শত শত ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। স্থানীয়রা বলছেন, ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অনকে কম।

জানা গেছে, নদীর ভাঙন ঠেকাতে ২৫০ কেজি ওজনের বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে নদীতে তীব্র স্রোত থাকায়ও মিলছে না সুফল এমন অভিযোগ নদী পাড়ের মানুষের। তারা জানিয়েছেন, এভাবে নদী ভাঙন চলতে থাকলে জেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে অনেক গ্রাম।

তবে ভাঙন বৃদ্ধি পেলে প্রয়োজনে কাজের পরিধি বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। এবারের বর্ষা মৌসুমে রাজবাড়ী জেলার ১৯টি পয়েন্টে দেখা দেয় ভাঙন।এই ভাঙন রোধে দ্রুত স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি স্থানীয়দের।

সদরের অন্তমোড় এলাকার গৃহবধূ মালেকা বেগম (৫০) জানান, এ পর্যন্ত চারবার তার বাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। এখন অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়ে আছেন তিনি। প্রতি বছর নদী সবকিছু কেড়ে নেয়। এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বাররা তাদের কোনও খবর নেন না।

 কৃষক মো. আইনাল বলেন, নদীর পানিতে এই এলাকার সব ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। অনেক জমি নদীতে চলে গেছে। ফুলকপি, টমেটো ও ধানের চারাও তলিয়ে গেছে।

গোয়ালন্দ ছোট ভাকলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেয়েছে পদ্মা নদীর পানি। এতে করে গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলাসহ কয়েকটি গ্রামের অনেক ফসলি জমি ও বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে পাউবো যে পরিমাণ জিও ব্যাগ ফেলছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।’

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, ‘রাজবাড়ী জেলা সদরের সাত কিলোমিটার অংশে প্রকল্পের কাজ চলছে। পাশাপাশি ঝুঁকিতে আছে আরও সাড়ে চার কিলোমিটার। এ সব ঝুঁকিতে থাকা অংশ প্রকল্পের আওতায় আনতে ডিপিপির কাজ চলছে। গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের পাঁচ কিলোমিটার অংশে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে চলছে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ। সদরের মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো রক্ষায় গত জুন মাসে ১২ হাজার ও বর্তমানে ৬ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। প্রয়োজনে কাজের পরিধি আরও বাড়ানো হবে।’

 

সূত্র: বাংলাট্রিবিউন




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top