ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


বিকিবিল হাওরে লাল শাপলার রাজত্ব


প্রকাশিত:
১৫ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:২৮

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ১৮:২৯

ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশ টিভি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে রয়েছে একটি শাপলা ফুলের হাওর। এ হাওরের সাদা ও লাল রঙে ফোটা শাপলা ফুল যে কারো মন ভালো করে দিতে পারে। কোন রকমেরর চাষাবাদ ছাড়াই হাওরে শাপলা ফুলের সমাহার দেখে মুগ্ধ সুনামগঞ্জ তথা বিভিন্ন এলাকার পর্যটকরা।

জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের কাশতাল গ্রামের বিকিবিল হাওরের প্রায় এক তৃতীয়াংশ জায়গা নিয়ে শাপলা ফুলের বাহার। পানির মধ্যে লাল ও সাদা শাপলা আর ওপারের মেঘালয়ের পাহাড়- সব মিলিয়ে প্রকৃতির এক নয়নাভিরাম চিত্র।

হাওরে ৬ মাস পানি থাকায় এ সৌন্দর্য উপভোগ করার সময়টাও ৬ মাস। পরে এ জমিতে চাষ হয় বোরো ধান। তাছাড়া শাপলা ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে অবশ্যই সকাল সকাল আসতে হবে। দিন যতোই বাড়তে থাকে; ততোই যেন নিমজ্জিত হয়ে যায়। তাই ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ শাপলার হাওরের সৌন্দর্য মন জুড়াবে পর্যটকদের। অন্যদিকে লাল শাপলাগুলো মানুষ উপভোগ করেন। আর সাদা শাপলাগুলো চলে যায় বাজারে।

স্থানীয়রা জানান, বোরো ধান চাষাবাদের পর বর্ষা মৌসুমে হাওর পানিতে ডুবে যায়। এ পানিতে কোন রকমের চাষাবাদ ছাড়াই জন্মায় শাপলা। স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে এ শাপলার পরিচর্যা করেন। স্থানীয়রা মনে করেন, বিকিবিল হাওরে শাপলা ফুলের সঠিক পরিচর্যা হলে, সেটি হয়ে উঠবে পর্যটকদের অন্যতম দর্শনীয় স্থান।

কাশতাল গ্রামের ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘হাওরের সৌন্দর্য দেখতে স্থানীয়রা ভিড় জমান। অনেকে এ জায়গা থেকে সাদা শাপলা সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এটি সুনামগঞ্জের একমাত্র হাওর, যে হাওরে এতো বেশি শাপলা ফুল ফোটে।’

পর্যটক দেবব্রত দাশ বলেন, ‘বিকিবিল হাওরের সঠিক পরিচর্যা হলে সুনামগঞ্জে পর্যটক সংখ্যা বাড়বে। তাছাড়া পর্যটকরা যাতে নৌকা দিয়ে হাওরে কিছু সময় কাটাতে পারে, সে ব্যবস্থা করা হলে আমাদের জন্য ভালো হয়।’

এ হাওর দেখতে চাইলে প্রথমে আসতে হবে সুনামগঞ্জ। আব্দুর জহুর সেতুর ওপর থেকে সিএনজি বা মোটরসাইকেল পেয়ে যাবেন তাহিরপুর যাওয়ার। তাহিরপুর উপজেলা হয়ে বা যাদুকাটা নদী পার হয়ে বিকিবিলে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া তাহিরপুর সদর থেকে নৌকায়ও হাওরে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top