ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১

জোয়ারের পানিতে বন্ধ বরগুনার ফেরিঘাট: যাত্রীদের দূর্ভোগ


প্রকাশিত:
১৭ মে ২০২২ ১০:০২

আপডেট:
১৭ মে ২০২২ ১০:০৪

 

ভরা পূর্ণিমার প্রভাবে বরগুনার প্রধান নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিতে ডুবে গেছে পুরাকাটা-আমতলী ও বড়ইতলা-বাইনচটকি ফেরির গ্যাংওয়ে। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত নদীতে জোয়ারের পানির তীব্রতা বেড়ে যায়। এবারও ভরা পূর্ণিমার প্রভাবে পায়রা, বিশখালী ও বলেশ্বর নদীর মোহনায় স্বাভাবিকের চেয়ে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। রবিবার (১৫ মে) রাতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পায়রা, বলেশ্বর ও বিশখালী নদীতে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবাহিত হয়। এ কারণে ডুবে যায় আমতলী-পুরাকাটা ও বড়ইতলা-বাইনচটকি ফেরিঘাট। ফলে নদী পারাপারে যানবাহন নিয়ে চালক ও যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিষখালী নদীতে তীব্র জোয়ারে বড়ইতলা ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে গেছে। এতে নারী ও শিশুসহ সবাই কোমর সমান পানির মধ্যে দিয়ে তীরে উঠছেন। কেউ বা আবার ফেরিতে উঠছেন। কখনো কখনো স্থানীয় জেলেরা তাদের নৌকা দিয়ে তীর থেকে গ্যাংওয়ে পর্যন্ত যাত্রীদের পারাপার করছেন। তবে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ট্রাক নিয়ে চালকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ইঞ্জিনে পানি ঢুকে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। তাই জোয়ারের পানি না নামা পর্যন্ত তারা ফেরিতে উঠতে পারে না।

মাত্রারিক্ত জোয়ারের পানিতে আটকে পড়া ব্যবসায়ী সেকান্দার আলী বলেন, ‘আমি মুদি ব্যবসায়ী। প্রয়োজনীয় মালামাল আনতে জেলা শহর বরগুনা গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন ঘাট ডুবে যাওয়ায় মালামালসহ ইজিবাইক নিয়ে ফেরিতে উঠতে পারছি না। এখানে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ধরে বসে আছি।

মোটরসাইকেলচালক রুবেল হাওলাদার বলেন, ‘জোয়ারের কোমর সমান পানিতে ফেরিঘাট ডুবে গেছে। এখন যদি মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরিতে উঠতে চাই, তাহলে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাবে। তাই বাধ্য হয়ে পানি কমার অপেক্ষা করছি।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনার পানি পরিমাপক মাহতাব হোসেন বলেন, পূর্ণিমার প্রভাবে বরগুনা সব প্রধান নদীতেই জোয়ারের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী দুই-তিন দিন উচ্চ জোয়ার অব্যাহত থাকবে।

সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন বলেন, বড়ইতলা ফেরিঘাট সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দরপত্র প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। শিগগিরই ফেরিঘাট উন্নয়নের কাজ শুরু হবে।


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top