দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে অস্ট্রেলিয়ায়
![অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ দাবানল](https://poribeshtv.com/uploads/shares/2019/dabanol-2019-11-21-19-32-54.jpg)
তাপমাত্রাবৃদ্ধির ফলে ছোট ছোট গাছে আগুন ধরে যাচ্ছে আর সাথে প্রচন্ড বাতাসে সপ্তাব্যাপি দাবানলে জ্বলছে অস্ট্রেলিয়ার বনাঞ্চল। বনের ১৩০টি স্থানের আগুন নিয়ন্ত্রণে রাতদিন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জরুরি সময়ের কর্মকর্তারা। ওয়েলসে ৩৬৭টি ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।এখনো আগুন জ্বলছে অর্ধেকেরও বেশি জায়গায়।
এসপ্তাহে তাপমাত্রা আরো বাড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশটিতে ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তারপরও অবস্থা আরো খারাপ হবে বলে সতর্ক করেছে স্থানিয় ফায়ার সার্ভিস। আগুন নিভাতে নিউজিল্যান্ড থেকেও সহায়তা নেয়া হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ায় বনে আগুন লাগাটা সাধারণ ঘটনা হলেও এবার সময়ের আগেই প্রচন্ড দাবানল জ্বালিয়ে দিচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের বসতবাড়ি। কুইন্সল্যান্ডে জরুরি সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং বৃষ্টি ছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না মনে করছে স্থানিয় ফায়ার সার্ভিস ।
উল্লেখ্য, গত আগস্টে পৃথিবীর হৃতপিন্ড হিসেবে পরিচিত আমাজন বনে প্রায় ৮ মাসে প্রায় ৭৩,০০০ আগুন লাগার খবর পাওয়া যায় । তখন এটাকে পরিবেশবাদিরা বন উজাড় করার কারণে প্রকৃতির প্রতিশোধ বলে দাবি করেন। বিশ্বব্যাপি ব্রাজিল সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করা হয় এমনকি অর্থনৈতিক অবরোধের হুমকি দেয়া হয় ব্রাজিলকে।
অন্যদিকে জলবায়ু প্রভাব মোকাবেলায় একটি বিল প্রত্যাখ্যান করার পরই ইউরোপের অন্যতম পর্যটন নগরী ইতালির ভেনিস বন্যায় ভেসে যায় । অনেকে এটাকে প্রাকৃতিক শাস্তি বলে আওয়াজ তুলছেন। এছাড়া সৌদি আরবেও সম্প্রতি ব্যাপক বন্যায় ১৩ জনের প্রাণহানি ঘটে। সবমিলিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিবেশের যে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হচ্ছে তা দিন দিন আরো স্পষ্ট করে দেখা দিচ্ছে।
আর এ নিয়ে বিশ্বব্যাপি স্কুলশিক্ষর্থীদেরাও রাস্তায় নেমে কিশোর আন্দোলনে যোগ দেয়ার ঘটনা বেশিদিন আগের কথা নয়। তবে বিশ্বনেতারা কতটুটু ভাবছেন বা পদক্ষেপ নিচ্ছেন সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
সূত্রঃ ভোরের কাগজ
বিষয়: দাবানল জলবায়ু অস্ট্রেলিয়া
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: