ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে নদীগর্ভে বিলীন কোটি টাকার সাইক্লোন শেল্টার


প্রকাশিত:
১০ অক্টোবর ২০১৯ ০৭:৩৯

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:১৪

ছবি: সংগৃহিত

পরিবেশ টিভি: বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হচ্ছে একের পর এক জনগুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে কয়েকদিনের এই ভাঙনে অর্ধশত ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে যায়। সর্বশেষ মঙ্গলবার বিকেলে রাক্ষুসে সন্ধ্যা গিলে খেয়েছে আশোয়ার গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাইক্লোন শেল্টার নামে সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও এখনো ভাঙন হুমকিতে রয়েছে স্কুল মসজিদ মাদ্রসাসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দে নির্মিত সাইক্লোন শেল্টারটি রক্ষায় পদক্ষেপও নিয়েছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। সাম্প্রতিকালে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল সদর আসনের এমপি কর্নেল (অব:) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ আদেশ দেন। পরবর্তীতে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড মাস দুয়েক আগে প্রতিষ্ঠানটি রক্ষায় ভাঙনরোধে ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে উদ্যোগ নেয়।

মঙ্গলবারে সাইক্লোন শেল্টারটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পরে তীরবর্তী আশোয়ার গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক চরম আকারে ধারন করেছে। 

বরিশাল জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়- ঘূর্ণিঝড় সিডরের পরে ভাঙনকবলিত আশোয়ার গ্রামের মানুষের আশ্রয়ের জন্য ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাইক্লোন শেল্টার ভবনটি নির্মাণ করা হয়।

আশোয়ার গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছে- গত এক মাসের অধিক সময় ধরে নদীভাঙনে জনগুরুত্বপুর্ণ প্রতিষ্ঠানসহ অন্তত অর্ধশত স্থাপনা বিলীন হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে সাইক্লোন শেল্টারটি নদীগর্ভে চলে যাওয়ার পরে ভাঙন আতঙ্কে আশপাশের ঘরবাড়ি ও স্থাপনা সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।

অবশ্য বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডও ভাঙন রক্ষায় নতুন উদ্যোগের বিষয়টি এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছে। কিন্তু এবার তারা ভাঙন রোধে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশাল অঞ্চলের ইঞ্জিনিয়ার জুলফিকার হাওলাদার জানান, প্রতিষ্ঠানটি রক্ষায় দু’মাস আগে ভাঙন কবলিত এলাকায় প্রতিমন্ত্রী পরিদর্শনে গিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়ার পরে সেখানে ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে অস্থায়ী প্রকল্পের মাধ্যমে ৪ হাজার ৩০০ বস্তা বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হয়।

এদিকে স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টারটি নদীতে বিলীন হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। পুজোর ছুটির পরে স্কুল খোলার সময় নির্ধারিত থাকার কারণে প্রতিষ্ঠানটি হারিয়ে উপজেলা প্রশাসনও যেন পড়েছে বিপাকে।

যদিও উপেজেলা শিক্ষা অফিসার তাসলিমা বেগম বলেছেন- শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আনতে ওই গ্রামের একটি নিরাপদ দুরত্বে জমি দেখা হচ্ছে। সেখানে অস্থায়ী ভিত্তিতে বিদ্যালয় গড়ে তোলার চিন্তা ভাবনা রয়েছে।’




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top