ঢাকা বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১

সাতক্ষীরা সীমান্ত উপকূল দিয়ে স্থলভাগে ঢুকে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় আমফান


প্রকাশিত:
২১ মে ২০২০ ১০:১৮

আপডেট:
২১ মে ২০২০ ১০:২৭

ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে বুধবার বিকেলের দিকে সাতক্ষীরা সীমান্ত উপকূল দিয়ে বাংলাদেশ ভূখন্ডে উঠে এসেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমফান। তীব্র ঝড়ো বাতাস আর বৃষ্টি ঝড়িয়ে সাগর থেকে উপকূলে উঠেছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। 

স্থলভাগে প্রবেশের পর ঘূর্ণিঝড় আমফানের দেহ কার্যত ভেঙ্গে গেছে। তবে এর প্রভাবে উপকূলী জেলাগুলোতে বয়ে যাচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো বাতাস। আবহাওয়া অফিস জানায়, উপকূলীয় এলাকা স্বাভাবিকের তুলনায় ১০ থেকে ১৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বৃহষ্পতিবার থেকে কমে যাওয়ার সম্ভনা রয়েছে আমফান প্রভাবিত ঝড়-বৃষ্টি। আর ঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি আর স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানির উচ্চতা বেশি হওয়ার কারণে উপকূলবর্তী নিম্নাঞ্চলসহ আশেপাশের জেলা শহরগুলো প্লাবিত হবে। আবহাওয়া অধিদফতরের আশঙ্কা, জোয়ারের সময় ১০ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এতে মাছ, গবাদিপশু, আমসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে উপকূলের বিভিন্ন পয়েন্টে বেরিবাঁধ ভেঙে নোনাপানি ঢুকে পড়ায় এরইমধ্যে ডুবে গেছে অনেক গ্রাম।

এদিকে ঝড়ে উপড়ে পড়েছে বিপুল পরিমাণ গাছপালা। বিদ্যুতের খুঁটির ওপর গাছ পড়ে সাতক্ষীরা শহর দুপুর থেকেই বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। ফলে পুরো উপকূলবাসী এ মুহূর্তে আছেন চরম ভোগান্তির মধ্যে। এছাড়াও খাবার পানির সংকট এবং পয়োঃনিষ্কাশনের সমস্যার কারণে বেশ ঝামেলায় পড়েছেন বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করা মানুষরা।

বর্তমানে আমপানের প্রভাবে ঝড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায়। এসব জেলাসহ আশেপাশের এলাকাগুলোতে এখন ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। রাতে উপকূলীয় জেলাগুলোতে জোয়ারের সময় পানি উঠবে অনেক বেশি পরিমাণে। এখনই উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলগুলো ৫ থেকে ৭ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টি হবে প্রায় সারারাতই।  আবহাওয়া অধিদফতর ধারণা করছে, জোয়ারের সময় ১০ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

 


বিষয়: আমফান



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top