কাপাসিয়ার বাঁধানো খেয়াঘাট এখন অবর্জনার ভাগাড়

পরিবেশ টিভি: কাপাসিয়া উপজেলা সদর থেকে বানার নদী হয়ে তরগাঁও এলাকায় যাওয়ার খেয়াঘাটে সড়ক নেই। বাঁধানো এ খেয়াঘাটে কাঁচাবাজারের ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমেছে। ফলে নদীর উত্তর পাশের ৮ ইউনিয়নের মানুষকে উপজেলা সদরে যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় ব্যবসায়ী, স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে কাঁচাবাজারের কাঁচামাল সৃষ্ট ময়লা-আবর্জনার স্তূপ ও কাদাযুক্ত পানিতে পা ভিজিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বাঁধানো ঘাটে নৌকা ভেড়াতে অসুবিধা ও ময়লা-দুর্গন্ধযুক্ত নর্দমার কারণে ১০ বছর ধরে নিজেদের ইচ্ছামতো জায়গা তৈরি করে ঘাট হিসেবে ব্যবহার করছে মাঝিরা। ঘাটে যাতায়াতের জন্য সড়ক না থাকায় বাধ্য হয়ে কাঁচাবাজারের ভেতর দিয়ে চলাচল করছে মানুষ।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলা শহরের প্রধান সড়ক থেকে ২শ মিটার উত্তরে খেয়াঘাট। সারি সারি কাঁচামালের দোকান। তার ভেতর দিয়ে চলাচল করছে মানুষ। হাঁস, মুরগি ও কৃষকের চাষ করা সবজি বাজারে নিয়ে আসতে হয়রানির অন্ত নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নদীর উত্তর পাশে হওয়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ছে রেগীরা। পুরনো বাঁধানো খেয়াঘাট এখন আবর্জনার স্তূপ। হাত দিয়ে নাক ডেকে মূত্র ত্যাগ করছে মানুষ।
তরগাঁও গ্রামের মাঝি রায়হান উদ্দিন ও সিদ্দিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘাটে ৩৫টি নৌকা সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে। জনপ্রতি ভাড়া ৩ টাকা। নবীপুর গ্রামের মাঝি মফিজুর রহমান বলেন, ১৫ বছর ধরে নৌকা চালাই। বাঁধানো ঘাট ৬ মাস ব্যবহার করেছিলাম। ঘাটে লেগে নৌকা ভেঙে যায়। তাই সড়ক ছাড়া ঘাটেই নৌকা রাখি এখন।
কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী সজিব, মাসুম ও ইমরান বলেন, বাজারের ভেতর দিয়ে কলেজে যেতে হয়। সড়কসহ ঘাট থাকলেও মাঝিরা ঘুরে আসে। সরু গলিতে প্রায়ই জনজট লেগে যায়।
বামনখোলা গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন জানান, ভারী বোঝা ও ঝুড়িভরে সবজি আনতে বেকায়দায় পড়তে হয়।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. আমানত হোসেন খান বলেন, খেয়াঘাটে যাওয়ার সড়ক না থাকায় মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বাজারের ভেতর দিয়ে মালামাল নিয়ে চলাচল করতে কৃষকরা সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়ছে। নারীদেরও বাধ্য হয়ে বাজারের ভেতরে ঢুকতে হচ্ছে। জনদুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: