ঢাকা রবিবার, ৭ই জুলাই ২০২৪, ২৪শে আষাঢ় ১৪৩১

মিজোরামে প্রবল বর্ষণ, পাথরের খনি ধসে মৃত্যু বেড়ে ২১


প্রকাশিত:
২৯ মে ২০২৪ ১৮:৪৪

আপডেট:
৭ জুলাই ২০২৪ ১৯:৫৩

রেমালের প্রভাবে হওয়া ভারি বর্ষণের মধ্যে মঙ্গলবার মিজোরাম ছাড়াও নাগাল্যান্ডে চারজন, আসামে তিনজন এবং মেঘালয়াতে দুইজন মারা গেছেন।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য মিজোরামে প্রবল বর্ষণের মধ্যে পাথর খনি ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১ জন হয়েছে। এখনও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

রাজধানী আইজলে মঙ্গলবার সকালে খনি ধসের ওই ঘটনা ঘটে। পাহাড়ি ওই রাজ্যটিতে একই দিন অন্য একটি জায়গায় ভূমিধসে আরও ছয় জন মারা গেছেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বুধবার সকাল পর্যন্ত ধসে পড়া পাথর খনির ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ২১টি মৃতেদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও বেশ কয়েকজন চাপা পড়ে আছেন বলেও ধারণা তাদের।

মঙ্গলবারও ‘ঘন বৃষ্টি এবং ভূমিধস হচ্ছিল’ বিধায় উদ্ধার অভিযান ঠিকমত পরিচালনা করা যায়নি। বুধবার বৃষ্টি কমে এসেছে।

রেমালের প্রভাবে হওয়া ভারি বর্ষণের মধ্যে মঙ্গলবার মিজোরাম ছাড়াও নাগাল্যান্ডে চারজন, আসামে তিনজন এবং মেঘালয়াতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে এনডিটিভি।

এই চারটি রাজ্যসহ ভারতের পাহাড়ি আট রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে হওয়া ভারি বর্ষণে অনেক জায়গায় ভূমি ধস হয়েছে। কোথাও কোথাও সড়ক পুরোপুরি ধসে যাওয়ায় কিছু কিছু এলাকা বাকি দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যার ফলে রাজ্যগুলোতে স্বাভাবিক জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। ভূমি ধসের কারণে রাজ্যগুলোতে সড়ক ও রেল যোগাযোগ মারাত্মকভাবে ব্যাহতহচ্ছে বলেও জানায় এনডিটিভি।

ঝড়-বৃষ্টিতে ভূমিধস ছাড়াও গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে। ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।

গত রোববার রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং প্রতিবেশী বাংলাদেশে আঘাত হানে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ঝড়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশেও বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top