ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় রেমালে পশ্চিমবঙ্গে নিহত ৭


প্রকাশিত:
২৮ মে ২০২৪ ১৯:১১

আপডেট:
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:২৩

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। ঝড় ও বৃষ্টির তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে ঘণ্টায় ৯১ কিলোমিটার এবং বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২৬০ মিলিমিটার। এ ছাড়া, এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উৎপাটিত হয়েছে চার শতাধিক গাছ।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতাসহ আশপাশের শহরগুলোতে চার শতাধিক গাছ উৎপাটিত হয়েছে। ব্যাহত হয়েছে যোগাযোগব্যবস্থা।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় সব মিলিয়ে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে এক বাবাও আছেন। যিনি তার ছেলের খোঁজে বেরিয়ে মাথায় কার্নিশের টুকরো পড়ে নিহত হয়েছেন। তার ছেলে আইপিএলের ফাইনাল দেখার জন্য বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে আটকে গিয়েছিল। তাকে খুঁজতেই বের হয়েছিলেন সেই বাবা।

পূর্ব বর্ধমান জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ছিঁড়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারের কারণে বিদ্যুতায়িত হয়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার মৌসুনি এলাকায় ৮০ বছরের এক বৃদ্ধা নিজ ঘরে চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগণা জেলার পানিহাতি ও মহেশতলায় বিদ্যুতায়িত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। অপর একজনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের হলদিয়া এলাকায়।

ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুসারে, গত রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাংলাদেশের সুন্দরবন অংশে তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আঘাত হানতে শুরু করে রেমাল। ঝড়টির মূল অংশ ভারতীয় অংশের সুন্দরবনের প্রান্ত থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার এবং কলকাতা থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দূরে ছিল। রেমালের মূল অংশ আঘাত হানে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার মান্দারবাড়িয়ায়।

এরপর, গত রোববার রাত সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে ঝড়ের মূল অংশটি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে এবং এ সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। মাঝে মাঝে দমকা হাওয়ার কারণে বাতাসের গতিবেগ উঠে গিয়েছিল ১৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top