ঢাকা সোমবার, ১৩ই মে ২০২৪, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩১

মৌলভীবাজারে কালবৈশাখীতে বাড়িঘর বিধ্বস্ত


প্রকাশিত:
২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:০৯

আপডেট:
১৩ মে ২০২৪ ১১:২৬

দেশজুড়ে একদিকে তীব্র দাবদাহ, আর অন্য দিকে এর মধ্যে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় তাণ্ডব চালিয়েছে কালবৈশাখী। শনিবার শেষরাতের আকস্মিক ঝড়ে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্তের খবর পাওয়া গেছে।

ঝড়ে গাছপালা উপড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও তার ছিড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল; যা বিকাল ৪টার দিকে স্বাভাবিক হয়।

দিনভর কাজ শেষে কেউ অস্থায়ীভাবে মেরামত করে ঘরে উঠেছেন কেউবা প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন অর্ধশত পরিবার। ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কমলগঞ্জে।

কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার এবং শমশেরনগর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায় বলে জানান কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়নাল আবেদীন।

শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় তেমন ক্ষয়ক্ষতির খবর না পেলেও কমলগঞ্জের পতনঊষার ইউনিয়নের পতনঊষার, ধূপাটিলা, উসমানগড়, ব্রাহ্মণঊষারসহ আটটি গ্রামের অন্তত ৪২টি ঘর এবং শমশেরনগর ইউনিয়নের কেছুলুটি, ভাদাইরদেউল গ্রামের ১২টি ঘর বিধ্বস্তের খবর পাওয়া গেছে।

পতনঊষার ইউনিয়নের নেছার মিয়া ও ময়নুল মিয়া জানান, ভোররাতে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে তাদের ঘরের টিন উড়ে গেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন।

একই ইউনিয়নের খুশবা বেগম, লিপি বেগম এবং রহমান মিয়া জানান, ঝড়ের সঙ্গে তীব্র শিলা বৃষ্টি হয়। মুহূর্তের মধ্যে তাদের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। প্রশাসনের সহযোগিতা না পেলে ঘর পুনর্নির্মাণ করা কষ্টসাধ্য হবে।

পতনঊষার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান বলেন, “ঝড়ে আমার ইউনিয়নে প্রচুর বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। তাদের দ্রুত সহায়তার প্রয়োজন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।”

ইউপি সদস্য তোয়াবুর রহমান জানান, আকস্মিক ঝড়ে পতনঊষার গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র পরিবারের জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়েছে।

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক গোলাম ফারুক মীর বলেন, ঝড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েক স্থানে খুঁটি ভেঙে গেছে। সেইসঙ্গে গাছের ডাল পড়ে কয়েক জায়গায় তার ছিড়ে যায়। বিকালের দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়।

কমলগঞ্জ ইউএনও জয়নাল আবেদীন বলেন, “ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিপূর্ণ হিসাবে জানা যায়নি। চেয়ারম্যানদের কাছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। দ্রুত তাদের সহযোগিতা করা হবে।”




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top